বগুড়ার আদমদীঘিতে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় গ্রাম শালিস ও প্রহার করায় লোক লজ্জায় ফিরোজ সরদার (২৪) নামের এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। শনিবার বেলা১১টায় উপজেলার কাথলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। ফিরোজ সরদার ওই গ্রামের বাচ্চু সরদারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গত শুক্রবার দুপুরে ফিরোজ সরদার তার বাড়ির পাশে চাচাতো ভাই বায়জিদের একটি মোবাইল ফোন চুরি করে। এ ঘটনায় বায়জিদ থানা অভিযোগ করে ও ফিরোজকে মোবাইল ফোনটি বের করে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে তাকে চাপ দেয়। বিকেলে মোবাইল ফোনটি বের করে দেয় ফিরোজ।
মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় বায়জিতের বাড়িতে সালিশ ডাকে। শালিসে গ্রাম্য মাতব্বরদের সামনে নিহত যুবককে তার বাবা-মা মারপিট করে। শালিস শেষে নিহত যুবক তার শয়ন ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে।
শনিবার বেলা ১২ টার দিকে নিহত যুবকের মা মা ফেরদৌসি বেগম খাবার জন্য ছেলেকে ডাক দিতে থাকে। কিন্তু কোন সারা শব্দ না পেলে তার মা চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা ও প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে ওই যুবকের শয়ন কক্ষের দরা ভেঙ্গে দেখতে পায় নিহত যুবক তার শয়ন কক্ষের তীরের সাথে গলায় দড়ি দ্বারা ফাঁস আত্মহত্যা করেছে। আদমদিঘী থানা পুলিশ খবর পেয়ে বিকেলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে।
মোবাইল মালিক বায়জিদ জানায়, আমার চুরি যাওয়া মোবাইল ফিরোজ বের করে দেয়। একারণে তার বাবা-মা একটু শাসন করে।
আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম বলেন, এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে।
Posted ৬:২৩ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | Sazu Mia