বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরবর্তী চরাঞ্চলের চাষীরা বিভিন্ন ফসল চাষাবাদে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। সকাল থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলছে তাদের এ ব্যস্ততা। বিশেষ করে মরিচের ভালো দামের বাজার ধরতে চাষীরা আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরীতে ফুসরত পাচ্ছেন না।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সদ্য শেষ হয়ে গেলো চরাঞ্চলে বন্যা। পরেছে পলি মাটিও, হয়েছে জমি উর্বর। চরের এ জমিতে হরেক রকমের ফসল ফলাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা।চরাঞ্চলে চাষিরা উঁচু জমিতে তৈরী করছেন হাইব্রিড জাতের উচ্চ ফলনশীল মরিচের বীজতলা। তাদের আধুনিক পদ্ধতিতে বীজতলা তৈরিতে ব্যস্ততা বেশি। এরই মধ্যে অনেক চাষীর বীজতলায় মরিচের গাছ গজিয়েছে। দেখা দিয়েছে তাদের নতুন স্বপ্ন।
চরের চাষীরা বলছেন, এক কেজি হাইব্রিড মরিচের বীজের দাম ৬০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে প্রায় ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত।কোম্পানির রকম ভেদে মরিচের বীজ দামের এ তারতম্য। বাজার থেকে মরিচের বীজ কিনে, সবাই বীজ তলা তৈরিতে ব্যস্ত।
চাষীরা কাজলা ইউনিয়নের জামথল চরের মোঃসফিকুল ইসলাম বলেন, আমি ৫৭ শতক জমিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরী করেছি। এতে আমার ৭ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। নিজের জমিতে চারা গাছ লাগাবো। এছাড়াও বীজতলা থেকে বাজারে চারা গাছ , শতকরা হারে বিক্রি করে মোটা অংকের টাকা আয়ের আশা আছে আমার। গত ২ বছর হলে আমি আধুনিক পদ্ধতিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরী ও চারা গাছ বিক্রি করে থাকি।
একই ইউনিয়নের বেড়া পাঁচবাড়িয়া গ্রামের সাজিত শেখ বলেন,আমি এ মৌসুমে চার বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচের চাষ করবো। আমার উঁচু জমি নেই, সেজন্য বাজারের চারা গাছের উপর নির্ভর করতে হয়।মরিচ চাষের জন্য জমি উপযোগী করে তুলছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কুদরত আলী বলেন, চরাঞ্চলের চাষিরা এরই মধ্য প্রায় ৬ হেক্টর জমিতে হাইব্রিড মরিচের বীজতলা তৈরি করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথেই চরাঞ্চলের চাষিরা নয়া উদ্যমে মাঠে নেমেছেন।
Posted ৭:১৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD