বগুড়ার সোনাতলায় পুলিশ আসছে শুনে ঘরে তালা দিয়ে পলায়ন। ভোরে লাশ মিলল গাছ বাগানে।
ঘটনাটি ঘটেছে বগুড়া সোনাতলা পৌর এলাকার ঘোড়াপীড় এলাকার একটি বাগানে। ৩ মে শুক্রবার ভোরে স্থানীয়দের তা নজরে আসলে তাকে দেখতে লোকজনের ঢল নামে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও লাশের সুরতহাল করেন।
জানা যায়, ওই যুবকের নাম আব্দুল ওয়াহেদ। তিনি সোনাতলা পৌর এলাকার শাহবাজপুর গ্রামের মৃত ছইম উদ্দিনের ছেলে। পেশায় তিনি সিএনজি চালক।
স্থানীয়রা জানায়, তারা ভোরে বাগানের ভিতর একটি লাশ পরে থাকতে দেখে সেখানে ভিরজমায় এরপর ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে। তারা আরও জানায়, রাত দুইটার সময় জামরুল নামে এক ব্যক্তি ওয়াহেদ কে ফোন দিয়ে বলে, “আপনাকে পুলিশ খুঁজছে”। এই কথা শোনার পর তাৎক্ষণিক বাসা থেকে বের হয়ে দৌড় দেন। বাড়ির পিছনে দৌড় দিতে গিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে ও পুলিশের ভয়ে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
এ বিষয়ে ফোন দাতা জামরুলের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, রাত দুটো ছয় মিনিটে একটি পুলিশের গাড়ি ও তিনটি সিএনজি ঘোড়াপীর মোড়ে এসে আমাকে ওয়াহেদ ও মোস্তা’র কথা জিজ্ঞেস করেন। তারপর আমি ওয়াহেদ কে ফোনে জানাই যে, তাকে পুলিশ খুঁজছে। উল্লেখ্য জামরুল ঘোড়াপীর মোড়ের একটি মুদি দোকানদার।
উক্ত ব্যাপারে সোনাতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা জামরুলের ফোন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘোড়াপীর এলাকার দোকানদার জামরুল ওয়াহেদকে ফোন করে পুলিশের খোঁজ করার বিষয়টি জানায়। তবে অভিযোগ না থাকায় মৃতদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করি। আমাদের ধারনা এটি স্বাভাবিক মৃত।
এই মৃতের ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই দাবী করছেন স্বাভাবিক মৃতু হলে বাগানের ভিতর লাশ এলো কিভাবে। আর লাশটি ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হলো কেন। ওয়াহেদের নামে ইতিপূর্বে মামলা ছিল জানা যায়। অনেকের ধারনা এই মৃতের ব্যপারে একটি মহল ধামাচাঁপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
Posted ৮:৩৯ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD