বগুড়ার সোনাতলা পৌর এলাকার বড় বাজারের বীজ ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ এর দোকান থেকে বিনা-১৭ ধানের বীজ ক্রয় করে জমিতে ফেলে চারা তৈরি করা হয়। চারা রোপনের মাত্র ২৫ দিন বয়স তাতেই শীষ বের হয়েছে। এই দৃশ্য দেশে বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার পৌর এলাকার কাবিলপুর গ্রামে নুরজ্জামান কৃষকের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ, দিশে হারা কৃষক।
কৃষক নুরুজ্জামান বলেন, স্থানীয় সোনাতলা বাজারে এক বীজ ডিলার থেকে বীনা-১৭ ধান ১২০দিনে ধানের বাম্পার ফলন বীজ ক্রয় করি। এ বীজে বিঘা প্রতি ২৫ থেকে ৩০ মন ধান পাওয়া যাবে বলে ডিলারের পরামর্শ অনুযায়ী বীজ ক্রয় করি। কিন্তু বীজ বপনের ২৩ দিনের মাথায় বীজ উত্তোল করে চারা লাগাই। চারা লাগানোর ২৫দিনের মাথায় ধানের শীষ বের হওয়ার ৪ বিঘা জমির ধানখেত নষ্ঠ হওয়ার পথে। এবিষয়ে ধানের চারা কেটে নিয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ আহম্মেদের কাছে পরামর্শের জন্য গেলে তিনি সন্তষ্ট মুলক পরামর্শ দেননি বলে অভিযোগ তুলেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ বলেন এবারের আমন মৌসুমে সোনাতলা উপজেলায় কৃষকরা অনেকেই জমিতে বিভিন্ন জাতের ধানের আবাদ করেছে। এর মধ্যে অনেকে নতুন বিনা-১৭ জাতের ধান ফলন ভালো হওয়ায় এবং কিছুটা তাড়াতাড়ি ফলন পাওয়ায় এখানকার কৃষকেরা এই ধানের আবাদ করতে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। মূলত বীনা-১৭ জাতের ধান সব মৌসুমের জন্য উপযুক্ত সময়।
এমনকি তিন মৌসুমেই এই জাতের ধানের চাষ করা যায়। নতুন ধানের আবাদ করতে গেলে কৃষি অফিসের পরামর্শ করে আবাদ করলে অনেক লাভবান হবে কৃষক। ক্ষতি হওয়ার পর আসলে এ ক্ষেত্রে আমাদের করার কিছু নেই। সব বুঝে এ ধানের আবাদ করলে কৃষকের ক্ষতি হবে না বরং লাভবান হবে।
এবিষয়ে সোনাতলা বাজার বীজ ডিলার মালিক আব্দুর রশিদ বলেন আমি বিএডিসির সরকারী প্রনোদনার ধানের বীজ কৃষকের কাছ থেকে ক্রয় করি। এবং আমার বিএডিসির বীজ ডিলারের লাইসেন্স আছে লাইসেন্স নং ৩০১, ভালো ফলনের আশায় কৃষককে এ বীজ দিয়েছি স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে উঠবে। কেন যে এটা হলো তা বিএডিসির লোকেই ভালো জানে।
Posted ৮:১৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD