শুক্রবার ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

সিরাজগঞ্জে গরু, মহিষের হাড়ের গুড়ো চাহিদা মেটাচ্ছে ঔষুধ শিল্পে

আলোকিত বগুড়া   রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩
165 বার পঠিত
সিরাজগঞ্জে গরু, মহিষের হাড়ের গুড়ো চাহিদা মেটাচ্ছে ঔষুধ শিল্পে

হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জে গরু, মহিষের হাড়ের গুড়া তৈরি করছে যমুনা মিল।
সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের কালিয়া গ্রামে প্রায় ২৫ বছর আগে এই কারখানা গড়ে উঠেছে। এখান থেকে প্রতি মাসে প্রায় ১০ লাখ টাকার হাড় উৎপাদিত হচ্ছে। সেই হাড়ের গুড়া ব্যবসায়ীরা ক্রয় করে বিভিন্ন ঔষুধ কোম্পানিতে সরবরাহ করছে।

স্থানীয় ও কারখানা সুত্রে জানা যায়, জেলা শহর ছাড়াও আশপাশের পাবনা, নাটোর, বগুড়া, টাঙ্গাইল জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু ও মহিষের হাড় প্রতি কেজি ১৫ টাকা দরে সংগ্রহ করা হয়। হাড়গুলো মেশিনের সাহায্যে গুড়া করে ২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করা হয়। প্রতি মাসে হাড়ের গুড়া খুলনায় ব্যাপারীদের নিকট সরবরাহ করা হয়। এই কারখানায় নারী ও পুরুষ মিলে ২০ জনের মতো লোক কাজ করেছে।


কারখানায় কর্মরত শ্রমিক সাহেব আলী, চম্পা খাতুন ও মরিয়ম বেগম বলেন, এই কারখানায় আমরা প্রায় ২০/২২ বছর ধরে কাজ করি। দিন হাজিরা হিসেবে ৩৫০ টাকা করে বেতন পাই। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে। স্বামীর সঙ্গে আমার আয়ে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে।

হাড় সংগ্রহকারী সোলায়মান হোসেন বলেন, বেশ কয়েকজন মিলে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে হাড় সংগ্রহ করে ১৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করি এই কারখানায়। দৈনিক প্রায় গড়ে ২৫ কেজি হাড় সংগ্রহ হয়। এ থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে কোনো মতে সংসার চলে।


এদিকে গরুর মাংসের দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন কসাইরা আর আগের মত হার ফেলায় না মাংসের সঙ্গেই বিক্রি করে দেয়। তাই এখন আগের মত আর হাড় সংগ্রহ করতে পারি না।

কারখানার মালিক হাফিজুল শেখ বলেন, প্রায় দুই যুগ আগে এই ব্যবসা শুরু করি। সারা দেশে ছয়টি হাড়ের কালকারখানা রয়েছে তার মধ্যে সিরাজগঞ্জে একটি। কুড়ানো হাড় কিনে নিয়ে গুড়ো করে খুলনার ডিলারের মাধ্যমে বিক্রি করি। তারা এই সব গুড়া দেশের বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির কাছে বিক্রি করে। অনেক সময় চাহিদা মত গুড়ো সরবরাহও করতে পারি না। এখন আবার হাড়ও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। যে কারণে আমাদের হাঁড়ের গুড়া উৎপাদনের ওপর প্রভাব পরেছে।


হাড়ের গুড়া ক্রেতা খুলনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জালাল উদ্দিন বলেন, ঔষধ কোম্পানী ছাড়াও এই হাড়ের গুড়া থেকে গবাদি পশুর খাবার, মুরগির খাবার তৈরি হয়।

কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী আব্দুস সবুর শেখ বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই এলাকায় একটি হাড় গুড়া করা কারখানা রয়েছে। এই কারখানা থেকে বিভিন্ন পাইকার এসে এই গুড়া কিনে নিয়ে যায়। শুনেছি এই গুড়া দিয়ে ক্যাপসুলের কাভার বানো হয়।

Facebook Comments Box

Posted ৭:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩

Alokito Bogura || Online Newspaper |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

এ বিভাগের আরও খবর

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১

উপদেষ্টা:
শহিদুল ইসলাম সাগর
চেয়ারম্যান, বিটিইএ

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক:
এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ
বার্তা সম্পাদক: এম.এ রাশেদ
সহ-বার্তা সম্পাদক: মোঃ সাজু মিয়া

বার্তা, ফিচার ও বিজ্ঞাপন যোগাযোগ:
+৮৮০ ৯৬ ৯৬ ৯১ ১৮ ৪৫
হোয়াটসঅ্যাপ ➤০১৭৫০ ৯১১ ৮৪৫
ইমেইল: alokitobogura@gmail.com

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
error: Content is protected !!