বগুড়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী ও ছেলেকে মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূগ্তভূগী পরিবার।
সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী বলেন, আমি মোছা. দেলোয়ারা খাতুন, স্বামী-মৃত-বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফ্ফর রহমান, সাং-শিয়ালী, পোষ্ট-নিমগাছী, থানা-ধুনট, জেলা বগুড়া। আমি, আমার দেবর মৃত মিজানুর রহমান আকন্দের ছেলে মো. আকিমুর রেজা জনি এবং আমার দেবর মো. মাহফুজুর রহমানের সাথে একই বাড়ীর মৃত হাফিজার রহমান আকন্দের ছেলে হাবিবুর রহমান শাহীন (৫২), ফরমান আলী বাবু (৪৮) এবং মেয়ে পারভীন আক্তার (৫৩), ফেন্সি আক্তার (৪৫), জেসমিন আক্তার (৪৬) ও লাভলী আক্তার (৪৭) গণের সাথে দীর্ঘ দিন যাবৎ জমি-জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে গত ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল অনুমান সাড়ে ৭টার দিকে উপরোক্ত আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠিসোটা, লোহার রড, বাটাম ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জ্বিত হয়ে বে-আইনীভাবে দলবদ্ধ হয়ে আমাদের বতববাড়ীর আঙ্গিনায় অনাধিকার প্রবেশ করে আমার দেবর মাহফুজার রহমান, ভাতিজা আকিমুর রেজা জনি ও আমার ছেলে কুদরত-ই খুদাকে উদ্দেশ্য করে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। তখন আমার দেবর ও ভাতিজা প্রতিবাদ করায় তাদেরকে এলোপাতারি মারপিট করে। এরপর আমি ও আমার ছেলে কুদরত-ই খুদাসহ আমার দেবরের স্ত্রী শারমিন নাহার নিরু বেগম ঘটনাস্থলে এগিয়ে আসলে আমাকেসহ তাদেরকেও মারধর করে এবং এসময় আসামীরা আমার ভাতিজা আকিমুর রেজা জনির পকেট থেকে ৪০,০০০/= টাকা জোরপূর্বক বের করে নেয়।
একপর্যায়ে তারা আমার ও আমার দেবরের স্ত্রী শারমিনের কাপড়-চোপড় টানা হেঁচড়া করে শ্লিলতাহানী করে। পারভীন ও ফেন্সি আক্তার আমার চোখে ইটের খন্ড দিয়ে আঘাত করে আমার চোখে মারাত্মক জখম করে। আমার ছেলে কুদরত-ই খুদা একজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক। ধুনট ইউ, আর, সি ট্রেনিং সেন্টারে ট্রেনিং উদ্দেশ্যে যাবার সময় তাকে ফরমান আলী বাবু লোহার সাবল দিয়ে পায়ে আঘাত করে। একই সাথে ফরমাল আলী বাবুসহ তার অন্যান্য ভাইবোন মিলে মাথায় ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাত করে। এতে আমার ছেলে মারাত্মক আহত হয়ে প্রথমে ধুনট উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। এরপর সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
বর্তমানে সে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে। বিষয়টি বগুড়ার ধুনট উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। আসামীরা আমাদের বতসবাড়ীর দরজা-জানালাসহ ঘরের যাবতীয় আসবাবপত্র ও দুটি মুল্যবান মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এতে আমাদের প্রায় সাড়ে ১২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন হয়। আমাদের চিৎকারে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসলে আসামীরা বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও প্রাননাশের হুমকি প্রদান করে চলে যায়। এ ঘটনায় আমার দেবর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে গত ৩ নভেম্বর বগুড়ার ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৪।
আমি প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়ার পর আজ সাংবাদিক সম্মেলন করছি ন্যায় বিচারের জন্য। আমি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী। আমাদের পরিবারের উপর কোন কারণ ছাড়াই অন্যায়ভাবে তারা মারপিট করে। এঘটনায় আমি দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ বগুড়ার পুলিশ প্রশাসন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি।
Posted ৭:৪৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৫ নভেম্বর ২০২২
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD