হুমায়ুন কবির সুমন, সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে লাংরা শহিদ নামে এক প্রতারক কে গ্রেফতার করেছে সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশ। সিরাজগঞ্জ সদর থানা পুলিশের একটি দল রবিবার (২৬ ফেব্র“য়ারি) দুপুরে শহরের একডালা গ্রাম থেকে শহিদকে গ্রেফতার করে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: হুমায়ুন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আরো জানান, আসামি শহিদ দীর্ঘদিন যাবত গ্রামের দরিদ্র নিরীহ মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কাদাই গ্রামের বিভিন্ন অসহায় দুঃস্থ্য ব্যক্তিদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ২২ জনের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে লাংরা শহিদ নামে এই প্রতারক।
ভুক্তভোগী পরিবারের নাম উল্লেখ করে তাদের পক্ষে কাদাই, বনবাড়িয়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ শিল্পী খাতুন একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। পরে অভিযুক্ত শহিদকে আটক করা হয়। প্রথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার ম্যাধমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি শিকার করেছে। এঘটনার সাথে জড়িক ২/৩জনের নাম বলেছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের একডালা গ্রামের মৃত বক্কারের ছেলে মোঃ শহিদ, মাছিমপুর গ্রামের মো: হায়দার আলীর স্ত্রী মোছা: জলি ভূমি অফিসে টাকা দিয়ে আশ্রায়ণ প্রকল্পের ঘড় পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে মোঃ রেখা খাতুন, স্বামী মোঃ ফরিদুল ইসলাম, মোছাঃ জরিনা, স্বামী মোঃ ইদ্রিস আলী, মোছাঃ জোসনা বেগম, পিতা মোঃ মজিবর মন্ডল, মোছাঃ আন্না, পিতা ময়েজ আলী শেখ, মোছাঃ আঞ্জুয়ারা পিতা মোঃ ওসমান, মোছাঃ মরিয়ম, পিতা মোঃ মগরব আলী,মোছাঃ রোজিনা বেগম, মোছাঃ মমতা খাতুন, পিতা ইদ্রিস আলী আকন্দ, মোছাঃ ফুলমতি, মোছাঃ রোজিনা, মোছাঃ ভানু বেগম, মোছাঃ জরিনা, মোছাঃ মমতা, আঞ্জুয়ারা, মোঃ আঃ রশিদ, নুর নাহার বেগম, মোছাঃ শিল্পী খাতুন, মোছাঃ রাবেয়া বেগম, মোছাঃ হাসিনা খাতুন, কোরবান আলী, সর্ব সাং- কাদাই, ডাকঘর- বনবাডিয়া, উপজেলা ও জেলা সিরাজগঞ্জ এর প্রতিজনের কাছ থেকে ৩০ হাজার থেকে ৪৫ হাজার টাকা পর্যন্ত প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
কাদাই গ্রামের ভুক্তভোগি স্বামী পরিত্যাক্ত রোজিনা বেগম, মঞ্জুয়ারা খাতুন রহিমা খাতুন, জোসনা খাতুন বলেন, সরকারের আশ্রায়ন প্রকল্পের ঘড় পাওয়ার আশায় বিভিন্ন এনজিওদের কাছ থেকে কিস্তি তুলে ও উচ্চ সুদে বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা এনে শহিদ ও জলি কে দিয়েছি। ঘড় না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে শহিদ আমাদের বিভিন্ন হুকি ধামকি দেওয়ায় প্রতিকার চেয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
Posted ১০:০৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD