নিবন্ধনের আবেদন দাখিল নিয়ে আজ শনিবার বিকালে (১৫ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্ট বার এ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এবি পার্টির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত। এতে বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির আহবায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। পার্টির নিবন্ধন আবেদন দাখিলের কার্যক্রম ও নির্বাচন কমিশনের শর্ত জটিলতা নিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, ‘দলের নিবন্ধন কার্যক্রম ছিলো খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অব্যাহত নজরদারি ও একটি বিশেষ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে মোকাবেলা করে জেলা ও উপজেলা সমুহে কমিটি গঠন ও অফিস স্থাপন করতে হয়েছে।
এবি পার্টির সদস্য সচিব বলেন, আমরা দল ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের উগ্রপন্থী একটি অংশ আমাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফতোয়াবাজি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি কতল বা হত্যার ফতোয়া পর্যন্ত দিয়েছে। তার ওপর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের পরিপন্থী কঠিন শর্তসমূহ। কমিশনের উচিত ছিলো সহজ শর্তে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সংহত করা, সেখানে কমিশন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আটকে দিয়েছে কঠিন ও অগনতান্ত্রিক শর্তের বেড়াজালে।
তিনি আরও বলেন, গোটা বাংলাদেশে চলছে একটি স্বৈরাচারী শাসন। যার কারণে কোন রাজনৈতিক দলই স্বাধীন ভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেনা। সেখানে ২৩ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কমিটি গঠন ও দুইশত ভোটার পার্টির সদস্য অর্থাৎ বিশ-বাইশ হাজার মানুষকে পার্টির সদস্য হওয়ার দালিলিক প্রমাণ, কার্যকর অফিস স্থাপন একটি দূরুহ ব্যাপার। পুলিশি হয়রানি, সরকারি দলের হুমকি, ধামকিতে কোন বাড়ির মালিক রাজনৈতিক দলকে অফিস ভাড়া দিতে আগ্রহী হয়না। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক ভুমিকার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের শর্ত সমুহ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি। আগামী ১৬ অক্টোবর আমরা নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী এই সকল দলিল দস্তাবেজ সহ নিবন্ধনের আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দিবো ইনশাআল্লাহ।
এক প্রশ্নের জবাবে এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘অনেকে জানতে চান এবি পার্টি নিবন্ধন পাবে কি না? সরকার না চাইলে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন দিবে কি না, ইত্যাদি। আমরা সকল শর্ত পূরণের পরও ষড়যন্ত্রের ঘৃণ্যজালে দলের নিবন্ধন নিয়ে তালবাহানা করা হলে গণ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক প্রফেসর ডাঃ মেজর (অবঃ) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভুইঁয়া, বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, আব্দুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেত্রী বেবী পাঠান ও নাসরীন সুলতানা মিলি, প্রমূখ।
উল্লেখ্য, একইদিন সকাল থেকে এবি পার্টি নিবন্ধনের এই কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সকল জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রায় ছত্রিশ জেলা ও প্রায় দেড় শতাধিক উপজেলার কয়েকশ নেতাকর্মী অংশ নেন। সম্মেলন শেষে একটি শোভাযাত্রা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
Posted ৯:৪৭ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৫ অক্টোবর ২০২২
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD