সিরাজগঞ্জের মওলানা ভাসানী ডিগ্রি কলেজের সকল উন্নয়নমূলক কাজে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ও সকল পাওনা নিয়মিত পরিশোধসহ ৭ দফা দাবীতে অধ্যক্ষ বরাবর চিঠি প্রদান এবং একমাসের ব্যবধানে তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন শিক্ষক-কমচারীরা।
চিঠি প্রত্যাহারের কারণ হিসেবে ভূল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় চিঠি প্রত্যাহার করা হয়েছে উল্লেখ করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে অধ্যক্ষের চাপেই শিক্ষক-কর্মচারীরা ওই চিঠি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এদিকে কলেজ পরিচালনায় নানা অনিয়ম-দূর্নীতির অভিযোগে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচর্য্য বরাবর অভিযোগও করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, গত ২২ ফেব্র“য়ারি ইং তারিখে মওলানা ভাসানী কলেজের বেশ কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মচারি স্বাক্ষরিত একটি লিখিত চিঠি অধ্যক্ষ বরাবর দেয়া হয়। ওই চিঠিতে শিক্ষক-কর্মচারীরা সুষ্ঠুভাবে কলেজ পরিচালনার জন্য এবং নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য ৭ দফা দাবী জানান।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শিক্ষক-কর্মচারিরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন প্রকার অনিয়মের শিকার ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। যা প্রতিষ্ঠানের চলমান গতিকে বাধাগ্রস্থ করছে। এসব অধিকার প্রাপ্তির লক্ষে কতিপয় প্রস্তাব পেশা করা হচ্ছে। প্রস্তাবগুলোর মধ্যে মধ্যে রয়েছে, কলেজের সকল উন্নয়নমূলক কাজে শিক্ষকদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। শিক্ষক-কর্মচারীদের সকল পাওনা নিয়মতি প্রদান ও বকেয়া পরিশোধ, সকল প্রকার একাডেমিক কমিটি নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে গঠন। বিধি মোতাবেক ভোটের মাধ্যমে শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচিত করা, কলেজের সকল প্রকার ক্লাস ও পরিবেশ নিশ্চিতকরণ (বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ), সকল প্রকার আয়-ব্যয়ের হিসাব শিক্ষক প্রতিনিধি/অডিট কমিটির মাধ্যমে শিক্ষকমন্ডলীর সামনে উপস্থাপন করা। সকল প্রকার সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রাখা।
এদিকে এসব প্রস্তাব সম্বলিত চিঠিটি দেয়ার এক মাস যেতে না যেতে তা প্রত্যাহার করে নেন শিক্ষক-কর্মচারিরা। গত ২০ মার্চ পাল্টা এক চিঠির মাধ্যমে নিজেদের পূর্বের চিঠি প্রত্যাহার করে নেন তারা। তবে এ বিষয়ে কিছুই বলতে রাজি হননি শিক্ষক-কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে ভাসানী কলেজের অধ্যক্ষ জহুরুল ইসলাম ৭ দফা প্রস্তাব সম্বলিত চিঠি প্রাপ্তির কথা স্বীকার করে বলেন, আমাদের মধ্যে ভূল বোঝাবুঝি হয়েছিল। সভাপতির উপস্থিতিতে ভূল বোঝাবুঝির অবসান হওয়ায় শিক্ষকরা তাদের চিঠি প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
Posted ৯:২৫ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD