বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কাজলা ইউনিয়নের জামথল থেকে পৌর এলাকার কালিতলা ঘাট পর্যন্ত যমুনা নদীতে সি ট্রাক চালু হচ্ছে। এতে বগুড়া ও জামালপুর বাসীদের মধ্যে যোগাযোগ সহজতর করার জন্য এ পথে সি ট্রাক চালু করা হচ্ছে। যমুনা নদীর আন্ত: জেলা নৌ রুটটি আগামী ১২ই আগস্ট সকালে জামথল এলাকায় এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এই নৌ-রুটে এর আগেও দুই বার নৌ পরিবহণের জন্য ফেরী সার্ভিস চালু করা হলেও কিছু দিন পর তা থেমে যায়। যার কারনে এবারের সি ট্রাক সার্ভিস চালু নিয়ে দু’ পাড়ের মানুষ আশা নিরাশার দোলায় দুলছেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, জামালপুর জেলার প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ চলাচল করে এই নদী পথে। সারিয়াকান্দি উপজেলার জামথলে এবং পৌর এলাকার কালিতলা ঘাট হয়ে বগুড়া জেলা শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে থাকেন এই নৌ ঘাট। এছাড়াও বগুড়া সহ উত্তরাঞ্চলের অনেক মানুষ জামালপুর জেলা হয়ে ঢাকায় যাতায়ত করে থাকেন। যার কারনে এই নৌ রুটের গুরুত্ব বহুদিন আগে থেকেই চলে আসছে।
সে জন্য ১৯৭৭ সালের দিকে তৎকালীন সরকার রুটটিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর করার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে নৌ রুট সার্ভিস চালু করেন। এর পর কয়েক মাস স্বল্প পরিসরে ফেরী চলাচল করলেও নদীতে নাব্যতা সংকটের কারনে তা বন্ধ হয়ে যায়। এর প্রায় ২১ বছর পর গুরুত্বপূর্ণ এই নৌ রুটটিতে আবারো ফেরী সার্ভিস চালু করার জন্য তৎপর হয়ে উঠেন সে সময় কার সরকার। একইভাবে উদ্বোধনও করা হয় ফেরী সার্ভিস। কিন্তু যমুনা নদীতে প্রধানত নাব্যতা সংকট সহ বিভিন্ন কারনে বন্ধ হয়ে যায় ফেরী সার্ভিস। এরপর থেকে ব্যক্তিগত ভাবে চালু থাকে নৌ-পরিবহণ ব্যবস্থা। এই নৌ রুটে দৈনিক ৪ ট্রিপ ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকা চলাচল করে আসছে। ব্যক্তিগত ইঞ্জিন চালিত খেয়া নৌকায় প্রতিদিন অসংখ্য যাত্রী যাওয়া আসা করেন। এছাড়াও চরের কৃষি পন্য পাড়াপাড় করার জন্য বহু ব্যক্তিগত নৌকা চলাচল করে থাকে এই নৌ রুটে।
পৌর এলাকার নিজ বাটিয়া গ্রামের সত্তরর্ধো আফছার আলী মন্ডল বলেন, যমুনা নদীতে দুই-তিন মাস পানিতে সরব থাকলেও বাকী ৮/৯ মাসতো পানি কম ও ডুবো চরের কারনে নদীতে নাব্যতা সংকট দেখা দেয়। যে নদীতে বেশিরভাগ সময় ডিঙ্গী নৌকাই চলেনা সেখানে সি ট্রাক বা ফেরী কেমনে চলবে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তবে যদি ফেরী বা সি ট্রাক সার্ভিস চালু হয় তবে খুব ভালো কথা। আর যদি সার্ভিস উদ্বোধনের পরপরই বন্ধ হয়ে যায় তা কারোর জন্য ভালো নয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: রাসেল মিয়া বলেন, ওই নৌ রুটে আগামী ১২ই আগস্ট সি ট্রাক সার্ভিস উদ্বোধন করা হচ্ছে। রুটটি চালু হলে জামালপুর জেলার মানুষেরা যেমন সহজে বগুড়া শহরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবেন তেমনী বগুড়া জেলা সহ উত্তরাঞ্চলের বহু মানুষের জন্য যোগাযোগ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৮০ কিলোমিটার রাস্তা কম হবে। এছাড়াও চরের উৎপাদিত কৃষি পন্য পরিবহনে কৃষকরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।
Posted ৪:৪০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ আগস্ট ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD