আগামী ১ জুলাই থেকে ঢাকা শহর রাত ৮টার পর বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তবে রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যকীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে বলেও জানান মেয়র।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ প্রকৌশলী বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স ও বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা (ইউআরপি) বিভাগ আয়োজিত আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএসসিসি মেয়র এ কথা বলেন।
সেমিনারে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন প্রকল্পের টিম লিডার ড. আইনুন নিশাত জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
টেকসই শহর ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে মেয়র বলেন, ‘আগামী ১ জুলাই থেকে ঢাকা শহর রাত ৮টার পর বন্ধ করার জন্য আমরা উদ্যোগ নেব। অবশ্য রেস্তোরাঁ ও অত্যাবশ্যকীয় যে বিষয়গুলো রয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট সময়ের জন্য খোলা থাকবে।’ এ সময় ঢাকা শহরে যে কোনো ধরনের ভবন নির্মাণ করলে সেখানে অবশ্যই সোক-ওয়েল ও সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে। না থাকলে সেসব স্থাপনার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারিও দেন তাপস।
মেয়র বলেন, ‘সিটি করপোরেশনের যে নর্দমাগুলো করা হয়েছে, সেগুলো শুধু পানি নিষ্কাশনের জন্য। সেগুলো পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের জন্য নয়। পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করবে ঢাকা ওয়াসা। যেহেতু ওয়াসা পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করেনি সেহেতু ঢাকাবাসী পয়োবর্জ্যের সংযোগগুলো আমাদের নর্দমা দিয়ে দেয়। যার কারণে এই নর্দমাগুলো থেকে পয়োবর্জ্য খালে গিয়ে পৌঁছায়। ফলে খালের পানি কালো। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী ১ জুলাই থেকে আমরা সেটা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে যাব। এ সময়ের পর ঢাকা শহরে যেকোনো ইমারত নির্মাণ করলে অবশ্যই সেখানে সোক-ওয়েল এবং সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে।’
খালগুলো শুধু বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের বদলে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশনের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে জানিয়ে মেয়র তাপস বলেন, ‘আমাদের খালগুলোর যে পানি তা দেখলে কারও ভালো লাগবে না। কারণ আমাদের সকল পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন হয় এসব খাল দিয়ে। অথচ খালগুলো দিয়ে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কথা। কিন্তু সেখানে বৃষ্টির পানির সঙ্গে পয়োবর্জ্য যোগ হয়ে খালগুলো পয়োনিষ্কাশনের একটি ব্যবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
বিআইপির সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ফজলে রেজা সুমনের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন বুয়েটের উপাচার্য সত্য প্রসাদ মজুমদার, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহিদ উল্লা খন্দকার, জিআইজেড বাংলাদেশের এ্যাডাপটেশন অব আরবান এরিয়াস টু ক্লাইমেট চেঞ্জ এর প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর ড. ডানা দে লা ফনটেইন প্রমুখ।
Posted ১০:১২ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ জুন ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD