সারিয়াকান্দির হাটশেরপুর ইউনিয়নের চাষী বুলু মিয়া কামলা দিয়ে হাইব্রিড জাতের মরিচের জমি পরিচর্যা করছেন। ছবি- আলোকিত বগুড়া
বগুড়ার সারিয়াকান্দি এলাকায় মরিচ চাষে চাষীরা ব্যাপক পরিবর্তন এনেছেন। মরিচ চাষে দেশীর জায়গায় চাষ করছেন হাইব্রিড মরিচ। হাইব্রিড মরিচে খরচ ও পরিশ্রম দিগুন হলেও অধিক লাভের আশায় এ এলাকার চাষীরা হাইব্রিড মরিচ চাষে ঝুকে পড়েছেন।
স্থানীয় উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে, ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমি। এরই মধ্যে চাষীরা মরিচ চাষ করায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হওয়ার পথে। কৃষি অফিস আরো জানায়, এর মধ্যে দেশী মরিচের চাষ করা হয়েয়ে ২হাজার হেক্টর জমিতে। আর হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছে, ১ হাজার ৭৪০ হেক্টর জমিতে। অর্থ্যাৎ ৬০ ভাগ জমিতে দেশী মরিচের চাষ করা হলেও ৪০ ভাগ জমিতে চাষ করা হয়েছে হাইব্রিড জাতের মরিচ। গত বছরি হাইব্রিজ জাতের মরিচ চাষ এত ছিলনা।
গতবার হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ করা হয়েছিল মাত্র ৬’শ হেক্টর জমিতে। তার পূর্বে অর্থ্যাৎ ২০১৯ইং সালে চাষ করেছিলেন চাষীরা মাত্র প্রায় ১’শ হেক্টর জমিতে। বর্তমানে এই হাইব্রিড জাতের মরিচ চাষ অধিকহারে বাড়ছে। বাড়ার প্রধানত দুটো কারণ উল্লেখ করেছেন চাষীরা। এর মধ্যে একটি হলো একবার ফসলটির চারাগাছ রোপন করলে বছর জুড়ে ফলন পাওয়া যায় জমি থেকে। সেচ, নিড়ানী, সার ও কিটনাশক প্রয়োগ করে জমি থেকে সাড়া বছর কাঁচা মরিচ পাওয়া যায়।
কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের মূলবাড়ী চরের কৃষক মজনু মিয়া বলেন, পূর্বে আমি দুই বিঘা করে জমিতে দেশী মরিচের চাষ করেছিলাম। এবারো করছি, তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে হাইব্রিড মরিচ চাষ করেছি। হাইব্রিড মরিচ চাষে চারা রোপনের পূর্বে সার প্রয়োগ, হালচাষ ও মরিচের চারা ক্রয় বাবদ খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকার মত। শেষ পর্যন্ত জমিটিতে খরচ হবে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। অর্থ্যাৎ ওই পরিমাণ টাকা খরচের পর জমি থেকে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার কাঁচা মরিচ বিক্রি করবো বলে আমি আশা করছি।
কাজলা ইউনিয়নের ময়ূয়ের চরের কৃষক রোকন উদ্দিন বলেন, দেশী মরিচের চেয়ে হাইব্রিড মরিচে খরচ বেশি কিন্তু ফলনও বেশি হয়ে থাকে। হাটে হাটে কাঁচা মরিচ বিক্রি করে দৈনন্দিন সংসারের চাহিদা মিটানো হয়ে থাকে। দেশী মরিচ চাষে তা হয় না। দেশী মরিচে কেবল শুকানোর পর মোটা অংকের টাকা পাওয়া যায়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল হালিম বলেন, কৃষকরা সচারাচর লাভজনক ফসল বেশি করে থাকেন। হাইব্রিড মরিচ গাছে ধরে বেশি। যার কারনে ফলন পাওয়া যায় অধিক পরিমান। পরিশ্রম ও খরচ বেশি হলেও সেদিকে না তাকিয়ে অধিক লাভের আশায় চাষীরা হাইব্রিড মরিচ চাষ করে থাকেন। এতে কৃষকেরা লাভবান হন।
Posted ৯:০৩ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD