বগুড়ার শেরপুরে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার বোরোর ফলন ভালো হয়েছে। নতুন ধান কাটতে পেরে খুশি কৃষকেরা। উত্তরের শস্য ভান্ডার নামে খ্যাত বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মাঠজুড়ে পাকা বোরো ধান। সোনালী রং। কেউ ধান কাটছেন, কেউ বাঁধছেন আঁটি। দ্রুতগতিতে কেটে চলেছেন সোনা রঙের বোরো ধান।
কাজের ফাঁকেই কথা হচ্ছিল বিশালপুর গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, এই বছরের নতুন ধান কাটছি। খুব আনন্দ লাগছে। ফলনও ভালো হচ্ছে দামেও ভালো পাচ্ছি। তাই কৃষকরা খুশিতে আছে। হাসি-আনন্দে থাকবে। আল্লাহর রহমতে আর কয়দিন আকাশটা ভালো থাকলে এই ধান কৃষকের ঘরে উঠবে।
সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ইতমধ্যে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে। চাষাবাদ ব্যয়বহুল হলেও কৃষকেরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বোরো ধানের চাষাবাদ করে আসছেন। তাপদাহকে উপেক্ষা করে জীবিকার তাগিদে বোরো ধান মাড়াইয়ের কাজ করছেন কৃষি শ্রমিকেরা। এর মধ্যে বেশ কিছু নারী শ্রমিকদের অংশগ্রহণও রয়েছে।
শেরপুর উপজেলার বিভিন্ন ধানের হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে বিআর-২৮ নতুন ধান, ৯০০ থেকে ৯৩০ টাকা, মিনিকেট ১১০০ থেকে ১১৫০ টাকা এবং স্থানীয় কাটারী ১০২০ থেকে ১১৭০ টাকা, আতপ ৯০ (সুগন্ধী) ধান ১৩২০ টাকা মণ দরে বিক্রি হচ্ছে।
শেরপুরের ধানের হাটে এখন গড়ে ২০ থেকে ৩০ ট্রাক ধান আমদানি হচ্ছে। আর এক সপ্তাহ পর থেকে শুরু হবে মৌসুম। ভরা মৌসুমে ৭০ থেকে ১০০ ট্রাক ধান আসবে এই হাটে। ট্রাকের আকার অনুসারে একেক ট্রাকে ১৫০০০ থেকে ২০০০০ কেজি করে ধান বহন করে বলে জানা যায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় ২১হাজার ৫০ হেক্টরে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
Posted ৭:৩৮ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD