বগুড়ার সোনাতলায় বাঙালী নদীর ভাঙন রোধে ৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩টি পয়েন্টে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ৩টি পয়েন্টে প্রায় লক্ষাধিক সিসি ব্লক তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনও শুরু হয়নি নিশ্চিন্তপুর ও সোনাকানিয়ায় নদী শাসনের কাজ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার ৩টি পয়েন্টে বাঙালী নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের কার্যাদেশ দেওয়ার পরপরই শুরু হয়েছে সিসি ব্লক তৈরির কাজ।
বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের নামাজখালীতে ৭শ’ ৫০ মিটার নদী শাসন করতে সরকারের ব্যয় হবে ১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। একই ইউনিয়নের রংরারপাড়ায় বাঙালী নদী শাসনের কাজ হবে ৮শ মিটার। এতে সরকারের ব্যয় হবে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। এদুটি পয়েন্ট কাজ বাস্তবায়ন করছে মেসার্স মাসুমা ট্রেডার্স। অপরদিকে সোনাতলা উপজেলার হলিদাবগায় ৭শ মিটার বাঙালী নদীর ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সরকারের ব্যয় হবে ১০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। কাজটি বাস্তবায়ন করছে মেসার্স লোনা ট্রেডার্স।
গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজটির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান। আগামী দুই বছরের মধ্যে নদী ভাঙন রোধে ওই পয়েন্ট গুলোতে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শেষ হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজটি তদারকি করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, ইতিমধ্যেই ৩টি পয়েন্টে প্রায় লক্ষাধিক সিসি ব্লক তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে হলিদাবগা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য বাবর আলী, ডাক্তার আজাহার আলী, আখিউল ইসলাম বিপু, তমা সুলতানা জানান, গত ১৮/২০ বছরে বাঙালী নদীর অব্যাহত ভাঙনে তাদের পৈত্রিক ভিটামাটি বাঙালী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন তারা সর্বশান্ত।
এ বিষয়ে স্থানীয় জোড়গাছা ইউপি চেয়ারম্যান রোস্তম আলী মন্ডল জানান, নদীভাঙনের কারণে দীর্ঘ প্রায় ১৫ বছর পূর্বে তার বাবার কবর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সন্তান হিসেবে বাবার কবরের পাশে দিয়ে দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। নদী শাসনের কাজ হওয়ায় তিনি খুশি।
এ বিষয়ে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই শফিকুল আলম ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী হাসানুজ্জামান জানান, কাজ শুরুর মাত্র ১ মাসের মাথায় লক্ষাধিক সিসি ব্লক তৈরির করা হয়েছে। আগামী দেড় বছরের মধ্যেই কাজটি শেষ হবে।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত বরাদ্দ এসেছে মাত্র ২ কোটি টাকা। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ না এলেও উন্নয়ন কর্মকান্ড থেকে নেই। নির্ধারিত সময়েই নদী শাসনের কাজ শেষ হবে।
Posted ৭:১৬ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৯ জানুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura | MTI SHOPON MAHMUD