আব্দুর রাজ্জাক, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় প্রেম সংক্রান্তের জেরে সাবেক মেম্বার কর্তৃক মারপিটে স্কুলছাত্র আহত হয়েছে। আহত স্কুল ছাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১০মার্চ শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলা সদর ইউনিয়নের চামুরপাড়া গ্রামের রেল গেটে স্থানীয় মুদি দোকানে।
এঘটনায় ১১মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় ছাত্রের বাবা ছকিম সরকার বাদী হয়ে সাবেক মেম্বার সুলতান রহমানকে প্রধান অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সুত্রে ও স্কুল ছাত্রের বাবা জানায়, চামুরপাড়া গ্রামের আবেদ হোসেন (গুদা)’র ছেলে মাহাতাবুর মাহমুদ (সুলতান) সাবেক মেম্বার আমার প্রতিবেশী। দীর্ঘদিন আগে প্রতিবেশী সুলতিনের মেয়ের সাথে আমার ছেলের মোবাইল ফোনে কথা বলে থাকে এবং তাদের মধ্যে প্রেম ভালোবাসা সৃষ্টি হয়। যাহা আমরা উভয় পক্ষ জানতে পেরে উভয় মিলে আপোষ মিমাংসা করে নেই। গত ১০মার্চ শনিবার রাত অনুমান ০৮ ঘটিকার সময় চামুরপাড়া অরুন এর দোকানের সামনে আমার ছেলে বসে থেকে মোবাইল ফোন টিপতেছিলো তখন আমার ছেলের কাছ থেকে সুলতান মোবাইল ফোনটি চায়। আমার ছেলে দিতে রাজি না হওয়ায় সুলতান আমার ছেলেকে তার হাতে থাকা কাঠের বাটাম, লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী ভাবে মারধর করতে থাকে এক পর্যায় সুলতান
আমার ছেলের বুকে লোহার রড দিয়ে আঘাত করে যার ফলে আমার ছেলের বুকের রক্তাক্ত জখম হয়।
এক পর্যায়ে ছেলে মাটিতে পরে গেলে ডাক চিৎকার করতে থাকে প্রকাশ্যে খুন করার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন তিনি। পরে খবর পেয়ে আমি আমার ছেলেকে উক্ত ঘটনাস্থল হতে উদ্ধার করে সোনাতলা হাসপাতালে ভর্তি করে দেই। বর্তমানে আমার ছেলে সোনাতলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আমরা পরবর্তিতে উক্ত প্রতিবেশী সুলতানের কাছে গিয়ে আমার ছেলেকে মারার কারন জানাতে চাইলে তিনি বিভিন্ন প্রকার তালবাহানা মুলক কথাবার্তাসহ আমার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে প্রকাশ্যে হুমকি প্রদান করেন। আমার ছেলের বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে বলে আমি আশংকাবোধ করছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত সুলতানের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে মারপিটের বিষয় জানতে চাইলে বিষয়টি এরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসানের কাছে অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে তিনি আলোকিত বগুড়া’কে বলেন অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ১১:৪৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১২ মার্চ ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD