বগুড়ার সোনাতলায় এসিল্যান্ড(সহকারী কমিশনার ভূমি )ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার দিগদাইর ইউনিয়নের লোহাগাড়া নদীতে আকস্মিকভাবে অভিযান চালিয়ে নদীতে থাকা জালের বেড়া ও বালির বস্তার বাঁধ অপসারণ করেছেন। ১৮ মে বিকেলে এ অভিযানে অনেক জাল জব্দ করা হয়। এ সময় উপজেলা মৎস অফিসার হাফিজুর রহমান ও মৎস সম্প্রসারণ অফিসার রোকসানা তার সাথে ছিলেন।
জানা যায়, লোহাগাড়া নদীর মূলবাড়ী এলাকায় ব্রীজের নীচে বালুর বস্তা দিয়ে বেঁধে পানির প্রবাহ বন্ধ করে এবং ব্রীজের দুইপাশে জালের বেড়া দিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ সমবায় মৎস্যজীবীর সদস্যরা অবৈধভাবে মাছ চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল। এ বছরও মৎস্যজীবীরা অনেক টাকার মাছের পোনা ছেড়েছিল। এ বিষয়টি এলাকাবাসীর মধ্যে ছিল চাপাক্ষোভ।
বিষয়টির ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন অবগত হওয়ার পর অভিযানের মাধ্যমে জালের বেড়া ও বালুর বস্তা অপসারণ করে পানির স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁধা দূর করেন। নদী এখন মুক্ত এরুপ সংবাদ পেয়ে পরের দিন ১৯ মে শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধা পযর্ন্ত এলাকার জনসাধারন হৈ দিয়ে নদীতে নেমে মৎস্যজীবীদের ছেড়ে দেয়া মাছ ধরেছে বলে জানিয়েছেন মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক যুধিষ্ঠি প্রামানিক।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) কুরশিয়া আক্তার জানান, নদীর পানির স্বাভাবিক প্রবাহের বাঁধা দূর করতেই এ অভিযান চালানো হয়েছে।
Posted ৬:৫০ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD