বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার বালুয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ আটকড়িয়া গ্রামে বশতবাড়ির ভাড়াটিয়াকে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষরা ভাড়াটিয়ার ঘরের আসবাবপত্র ঘর থেকে জোড়পূর্বক উঠানে এনে তছনছ করেছে। সংবাদ পেয়ে বাড়ির মালিক ফিরোজ আহম্মেদ পাশা ঘটনাস্থলে এলে তাকেও প্রাণনাশের হুমকীও দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। প্রাণভয়ে বাড়ির মালিকের আত্মীয়রা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে সোনাতলা থানা পুলিশের সহযোগীতায় রক্ষা পেয়েছে তারা।
এ সংক্রান্ত অভিযোগ তুলে বাড়ির মালিক ফিরোজ আহম্মেদ পাশা প্রতিপক্ষের আতাউর ইসলামসহ ১৫ জন ও ভাড়াটিয়া নিলুফা বেগমও আতাউর ইসলামসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ভাবে সোনাতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ফিরোজ আহম্মেদ পাশা দক্ষিণ আটকড়িয়া গ্রামের মৃত সাজিদার রহমান আকন্দের ছেলে এবং ভারাটিয়া নিলুফা বেগম গাবতলীর কাগইল গ্রামের ফতু মিয়ার স্ত্রী।
অভিযোগ সুত্র জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ আটকড়িয়া মৌজার সাবেক ১৬৪৪, হালে ৩৩১৮ দাগে, ১৯৩ খতিয়ানে, ১৫ শতকের কাতে ৮ শতাংশ জমি ক্রয় সুত্রে মালিক ফিরোজ আহম্মেদ পাশা। ওই জমি নিয়ে একই ইউনিয়নের দাইদপুর গ্রামের মৃত কোরবান আলীর ছেলে আতাউর ইসলাম ওই জমিটি দাবি করে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করে। আদালত আতাউর পক্ষে রায় ঘোষনা করেন। ফিরোজ আহম্মেদ পাশা ওই রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেন যা বিচারাধীন আছে। আপিল এর নিস্পত্তি হওয়ার পূর্বেই ২০ মার্চ ২০২২ সকাল সাড়ে ৯টায় আতাউরসহ তার লোকজন ফিরোজ আহম্মেদের বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া নিলুফাকে জোড়পূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়। সে সময় তার ঘরের থাকা আসবাবপত্র ঘর থেকে বের করে উঠানে এনে তছনছ করে। ওই সময় বিছানার নিচে থাকা ২ লক্ষ টাকা অসৎ উদ্দেশ্যে প্রতিপক্ষরা নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভাড়াটিয়া নিলুফা বেগম ৪ জন কে অভিযুক্ত করে থানায় পৃথক অভিযোগ দায়ের করেছে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষ আতাউর ইসলাম ও মোতালেব জানায়, আমরা ভাড়াটিয়াকে আদালতের রায়ের বিষয়ে অবগত করি। এতে নিলুফা বেগম বলেন, আমি একা মানুষ, আপনারা সহযোগীতা করলে আমি ভাড়াবাসা ছেড়ে দিবো। ওই সময়ে আমাদের লোকজন তাকে সহযোগীতা করতে গিয়ে ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছে।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা দুটি অভিযোগের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Posted ১০:১০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২২ মার্চ ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD