বগুড়ার সোনাতলায় ফসলি জমি নষ্ট করে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে কৃষকদের ফসলি জমি পড়েছে হুমকির মুখে। বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের বাধা-নিশেধ উপেক্ষা করে জোড়পূর্বক বালু উত্তোলন করে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার অভিযান চালিয়ে কয়েকটি অবৈধ ড্রেজার জব্দ ও কিছু ড্রেজার আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। তারপরও অসাধু বালু ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বালু উত্তোলন করেই যাচ্ছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার পৌর এলাকার কামারপাড়া ব্রীজ ও সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দক্ষিণ পার্শ্বে ধান ক্ষেতের মাঝখান হতে বালু উত্তোলন করছে অসাধু বালু ব্যবসায়ী মো.ফিরোজ আহম্মেদ।
বালু উত্তোলনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মধ্যে মো.আবুল ওয়াহেদ (আনারুল) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। আমরা অভিযোগ সুত্রে জানতে পারি, সোনাতলা পৌর এলাকার কামারপাড়া গ্রামে মৃত আব্দুস সামাদ মন্ডলের ছেলে ফিরোজ আহম্মেদ ধান ক্ষেতের মাঝে তার নিজস্ব জমিতে ড্রেজার দিয়ে দির্ঘদিন যাবৎ বালু উত্তোলন করে আসছে। এতে চারিদিক থেকে অন্যান্য কৃষকের জমির মাটি ধ্বংসে পরছে। বাধা-নিষেধ করতে গিয়ে কৃষকরা বিভিন্ন ধরনের হুমকি-ধামকির শিকার হয়েছেন। তাই ভালো মানের ফসলি জমি রক্ষা করতে কৃষক মো.আবুল ওয়াহেদ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দারস্থ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে বালু ব্যবসায়ী ফিরোজ আহম্মেদ আলোকিত বগুড়া’কে জানান, আমি আমার নিজস্ব জমি থেকে বালু উত্তোলন করছি। অন্যের জমির কোন ক্ষতি হয়নি। তারপরও কাহারো জমির ক্ষতি হবে মনে হলে, আমি বালু উত্তোলন করবো না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত বগুড়া’র প্রতিনিধিকে বলেন, বালু উত্তোলনের বিষয়ে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। প্রতিনিয়তই এসব অবৈধ ড্রেজার জব্দ ও ধ্বংস করা হচ্ছে। এ বিষয়টির ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৯:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD