সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সোনাতলায় স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের স্বীকার হয়ে ৪ মাসের কন্যা সন্তান নিয়ে বিপাকে। এ ঘটনায় আদালতে মামলা হওয়ায় অভিযুক্ত যুবক পলাতক রয়েছেন।
বগুড়ার সোনাতলার জোড়গাছা ইউনিয়নের পোড়াপাইকর গ্রামের অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়ে ২০২২ সালের ৭ জানুয়ারী, বেলা আনুমানিক দেড়টার সময় বাড়ির পার্শ্ববর্তী অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য হামিদুল ইসলামের ছেলে শুভ হোসেন বাপ্পীর দোকানে শ্যাম্পু কিনতে যায়। বাপ্পী সুকৌশলে ওই স্কুল ছাত্রীকে জোড়পুর্বক দোকানের মধ্যে টেনে নেয়। এরপর ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাকে ধর্ষন করেন। এ ঘটনাটি যেন কাউকে না বলে এজন্য নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ফলে স্কুল ছাত্রী অন্তঃসত্তা হয়ে পরে।
এতে ওই ছাত্রীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন দেখে তার মা তাকে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের কাছে যান। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বগুড়ার একটি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে যান এবং আলট্রাসনো করেন।
কর্তব্যরত রেডিওলোজি ডাক্তার আলট্রাসনোগ্রাফি করে ওই ছাত্রী ৬ মাসের অন্তঃসত্তা বলে জানান এবং তা জানার পর অভিযুক্ত যুবক বাপ্পী বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
পরে ওই ছাত্রীর বাবা সেদিনেই আদালতে উপস্থিত হয়ে শুভ হোসেন বাপ্পীকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। এবং আদালত সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ বিষয়ে সোনাতলা থানার তৎকালিন ওসি জালাল উদ্দিন আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলাটির প্রতিবেদন করেছেন বলে জানা যায়।
ছাত্রীর বাবা আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, তিনি গরিব কৃষক। তাঁর সঙ্গে কারও শত্রুতা নেই। তাঁর মেয়ে এত বড় ধাক্কা কীভাবে সামলে উঠবে? তিনি দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়ে ক্ষোভে বলেন আমি গরিব কৃষক দেখে আইনের মানুষগুলো অবহেলা করে এখনো অভিযুক্তকে গ্রেফতার করছে না।
এ বিষয়ে থানার বর্তমান ওসি সৈকত হাসান সাথে কথা বললে তিনি আলোকিত বগুড়া’কে জানান, ওই মামলার ডিএনএ ম্যাচিং প্রতিবেদনের মুলতবি আছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য অভিযান অহ্যহত রয়েছে।
Posted ৪:১৫ অপরাহ্ণ | শনিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD