বগুড়ার সোনাতলায় দুই সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষিতার প্রতিবেশীরা লম্পট ধর্ষক তৌফিক হাসান বাধন ওরফে চঞ্চল(৩০)কে আটক করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছে। বুধবার দিবাগত রাত্রি সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। চঞ্চল ওই গ্রামের তমিজ উদ্দিনের ছেলে। এ ব্যাপারে ধর্ষনের শিকার গ্রহবধু নিজেই বাদী হয়ে সোনাতলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছে।
মামলা সুত্রে জানাযায়, জোড়গাছা গ্রামের দুই সন্তানের জননী ওই গৃহবধুর স্বামী ঢাকায় একটি কোম্পানীতে চাকুরী করে। গৃহবধু তার ছেলে-মেয়ে নিয়ে স্বামীর বাড়ীতেই বসবাস করে। স্বামী ঢাকায় থাকার সুবাদে একই গ্রামের প্রতিবেশী চঞ্চল ওই গৃহবধুকে প্রায়ই প্রেম ভালোবাসা সহ কুপ্রস্তাব ও মিথ্যা প্রলোভন দিতে থাকে। এক সময় মেয়েটি তার প্রেম ভালোবাসার প্রতি আসক্ত হলে চঞ্চল তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে স্বামীর বাড়ী সহ বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষন করতো। গত বুধবার ১৭ মার্চ রাত্রি অনুমান সাড়ে ১১টায় চঞ্চল আবারো ওই গৃহবধু শয়ন ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষন করে। গৃহবধু ওই দিন তাকে বিয়ের বিষয়ে কথা বললে চঞ্চল বিয়ে করতে না চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষক তাকে ধাক্কা মেরে পালানোর সময় প্রতিবেশীরা ধরে ফেলে।
ব্যাপারটি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আপস-মিমাংসা না হলে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পরের দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে সোনাতলা থানা পুলিশ ধর্ষক চঞ্চল ও গৃহবধুকে থানায় নিয়ে আসে। ওই দিন দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী গৃহবধু বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। মামলা নং ১০, তারিখ ১৮ মার্চ।
এ ব্যাপারে সোনাতলা থানা অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা মামলা বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত বগুড়া’র প্রতিবেদককে জানান, শুক্রবার সকাল ৮টায় গৃহবধুকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সকাল ১১টার দিকে আসামী চঞ্চলকে আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
Posted ৩:১১ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
Alokito Bogura। সত্য প্রকাশই আমাদের অঙ্গীকার | MTI SHOPON MAHMUD