বগুড়ার সোনাতলায় কবুতর চুরির অপবাদ দিয়ে মারপিটসহ বাড়ি ঘর ভাংচুর টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ৬ এপ্রিল রবিবার বিকেলে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের গোসাইবাড়ি গ্রামে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাবলু মিয়া বাদী হয়ে ৫জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন মৃত গোফো খন্দকারের ছেলে দুদু, দুদুর ছেলে জিল্লুর, মৃত সেকেন্দারের ছেলে শিপন, মৃত মোফাজ্জলের ছেলে ভিক্ষু, ভিক্ষুর ছেলে সজিব।
অভিযোগ ও সরে জমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার দুপুরে ওই গ্রামের দুদুর বড় ভাবি রোকেয়া বেগম একই গ্রামের বাবলু মিয়ার নাতি ইউসুফকে কবুতর চুরির অভিযোগ তুলে বাড়িতে গিয়ে শাসায়। এক পর্যায়ে চুরির স্বাক্ষি আছে বলে মা ছেলেকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। স্বাক্ষি না দেখাতে পাওয়ায় ছেলেটির মা চোরের অপবাদের প্রতিবাদ করে। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুদুর লোকজন মা ছেলেকে মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা পরিবেশ শান্ত করে তাদেরকে বাড়িতে পাঠায়।
পরবর্তীতে আবারো বিকালে দুদুসহ ছেলে জিল্লুর, মৃত সেকেন্দারের ছেলে শিপন, মৃত মোফাজ্জলের ছেলে ভিক্ষু, ভিক্ষুর ছেলে সজিব আরও অনেকে বাবলুর বাড়িতে এসে হাতে লাঠি সোঠা, লোহার রডসহ দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাবলুর স্ত্রী অফিতন বেগম, মেয়ে আখিররন বেগম, ছেলে লিটন, রাজু, নাতি ইউসুফ ও লিটনের স্ত্রী তানজিলা বেগমের উপর হামলা করে। এবং ঘর বাড়ি ভাংচুর সহ বাক্সে রক্ষিত নগত ৮৫ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যাওয়ার সময় বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও পুনরায় মারপিট করাসহ খুন জখমের হুমকি প্রদান করে।
পরবর্তীতে বাদি বাবলুর ছোটভাই আব্দুর রশিদ স্থানীয়দের মাধ্যমে বিবাদী দুদুর কাছে বিষয়টি মীমাংসার জন্য প্রস্তাব পাঠান। এতে দুদু ও তার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে রশিদকেও মারপিটেরসহ খুনের হুমকী প্রদান করে।
এ ঘটনায় প্রতিপক্ষ দুদু পক্ষের লোকজনের সাথে কথা বলতে চাইলে তারা কথা বলতে অপরাগত প্রকাশ করেন।
এ বিষয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ সৈকত হাসান অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
Posted ৯:৩১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ মে ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD