সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের উত্তর সারটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা অনুমতি ছাড়াই বিদ্যালয়ের গাছ কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয় নিয়ে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে ও দোকানে দোকানে অবৈধভাবে গাছ কাটা নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।
বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকালে ছুটির দিনে বিদ্যালয়ের ৪০ বছরের ১টি মেহগুনি কেটে ফেলেছে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও শিয়ালকোল ইউনিয়নের নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান সেলিম রেজা।
শিক্ষা অফিস সুত্রে জানা যায়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী স্কুলের গাছ কাটতে হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও বনবিভাগের কাছে লিখিত আবেদন করতে হয়। অনুমোদন দিলেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ কাটা যাবে। কিন্তু এই ধরনের প্রক্রিয়া ছাড়াই গাছ কাটা সেটা অপরাধ।
স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছর যাবত আমরা দেখে আসছি। গরমের দিনে একটু ছায়াতলে বসে থাকি। কিন্তু হঠাৎ করেই সকাল থেকে গাছ কাটা শুরু করে। আমরা জিজ্ঞাসা করলে সেলিম চেয়াম্যানের কথা বলে।
একই এলাকার বাসিন্দা সিদ্দিক শেখ, আবুল কাশেমসহ বেশকয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, পুর্ব পুরুষ থেকে আমারা এসব গাছ দেখে আসছি। হঠাৎ করেই সকাল থেকে কাটতে শুরু করে। এটা খুব দুঃখজনক। এই বিদ্যালয়ের অনেকে সভাপতি হয়েছে। কোন সভাপতিই এলাকা বাসীর চিন্তা করে গাছ কাটেনি। চেয়ারম্যান নতুন সভাপতি হয়ে এলাকা বাসীর চিন্তা করে না। তার নির্দেশে গাছ কাটা হচ্ছে বলে জানান গাছিরা।
উত্তর সারটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক নুর-জাহান বেগম বলেন, আমি গত ৬ এপ্রিলে গাছ কাটার একটি রেজুলেশণ করেছি। কিন্তু শিক্ষা অফিস থেকে গাছ কাটার কোন অনুমতি পাইনি। আজ আমাকে কিছু না জানিয়েই ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি স্কুলের গাছ কেটেছেন। গাছ কাটার বিষয়ে আমি কিছু জানিনা।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. সেলিম রেজা বলেন, স্কুলের প্রয়োজনে রেজুলেশন করে গাছ কাটার কাজে হাত দিয়েছি। শিক্ষা অফিস থেকে অনুমতি পেয়েছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শিক্ষা অফিস থেকে এখনো অনুমতি পাইনি।
সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আপেল মাহমুদ বলেন, স্কুলের গাছ কাটার বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিকে কোন অনুমতি দেওয়া হয়নি। যদি গাছ কাটা হয় তাহলে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশুকাতে রাব্বী বলেন, এবিষয়ে শিক্ষা অফিস থেকে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নিবো।
Posted ৯:০৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD