সপ্তম ও নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের বিয়ে দিলেন সিরাজগঞ্জের মেছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী ভুইয়া। বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।
সম্প্রতি সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের খাসবালিয়া মেন্দা গ্রামে এঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় রুপসা হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী খাসবালিয়ামেন্দা গ্রামের রফিকুল মিস্ত্রির কন্যা রোজিনা খাতুন একই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্র একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে তুহিন তুষার।
মঙ্গলবার (১৬ মে) সকালে মেছড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম বাল্য বিবাহের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমার ওয়ার্ডে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে বিয়ে না দেওয়ার জন্য নিষেধ করি। আমার কথা না শুনে চেয়ারম্যান ও তার ভাই সোহরাওয়ার্দী জোড়পূর্বক কাজী ডেকে এনে বিয়ে দিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বেশকিছু দিন ধরে তুষার ও রোজিনার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো। সেই সুবাধে গত ২৭ এপ্রিল প্রেমিক তুষার রোজিনাকে তার নানার বাড়ি থেকে ওঠিয়ে নিয়ে আসে। পরে বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ও তার বড় ভাই সারোয়াদ্দিসহ এলাকার মাতব্বরা মিলে গভির রাতে গোপনে কাজীর মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে। পরেদিন সকালে বাল্য বিয়ের বিষয়টি নিয়ে এলাকার আলোচনা ও সমালচনা শুরু হয়।
এ বিষয়ে সাবেক ইউপি সদস্য সোহরাওয়ার্দী জানান, ঘটনার সময় আমাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় তুষারের পরিবার। ছেলের পরিবারের মাধ্যমে কাজি আব্দুর রহমানকে ডেকে এনে কাবিন ও মাওলানা আলামিনকে দিয়ে বিয়ে পড়ানো হয়। এসময় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ, স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক আবুল হোসেন, মিঠু,পলাশসহ ছেলে ও মেয়ের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, মেয়ের পরিবার বাল্য বিয়ে দিতে অস্বীকার করায় জোরপুর্বক সোহরাওয়ার্দীসহ স্থানীয় মাতব্বরা বিয়ে দিয়েছেন।
৭নং মেছরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ ভুইয়াকে বার বার ফোন (০১৭৭৬৬৪১৫৩৮) দিলে সে ফোন রিসিভ করেননি। ফলে সাক্ষাতকার নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানার জন্য সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাশুকেতা রাব্বিকে ফোন (০১৭৩৩৩৩৫০৩০) দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
Posted ১:০৭ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD