সরকারী বিধি, বিধান, আইন, কানুনকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে সিরাজগঞ্জ শহরের দরগারোডে বহুতল ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। গত ০২.০৩.২০২১ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ মেয়র বরাবর, ২৮.১০.২০২১ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ পৌর সভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিখিত অভিযোগ, ২৮.১২.২০২১ইং তারিখে সিরাজগঞ্জ মেয়র বরাবর, ০৩.০২.২০২২ইং তারিখে সিরাজগঞ্জের উপ-পরিচালক (উপ-সচিব) স্থানীয় সরকার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছে ভূক্তভূগী।
লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের দরগা রোডের (মেডিনোভা হাসপাতালের পশ্চিমে) খাদেমুলগং ২৪জন মিলে ৬তলা ভবনের অনুমতি নিয়ে ৮তলা ভবন নির্মান করছে। পাশ্বের বাসার তিন ফুট তিন ইঞ্চি ছেড়ে ভবন নির্মানের কথা থাকলেও খাদেমুলগংরা পৌর বিধি লঙ্ঘন করে ভবন নির্মান করেছে। স্থানীয় মুরুব্বীরা বারবার নিষেধ করলেও তারা তা তোয়াক্কা না করে ভবন নির্মান করছে। এবিষয়ে ভূক্তভূগী সিরাজগঞ্জ পৌর সভার মেয়র সৈয়দ আব্দুল রউফ মুক্তাকে লিখিত ভাবে অভিযোগ করলে তিনি পৌর সভার টাউন প্ল্যানার মো: অনিসুর রহমানকে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে। এছারা সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টাউন প্ল্যানারকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে দেন। পৌর সভার বিধী লংঘন করে ভবন নির্মান করায় মো: আবু সুফিয়ান তালুকদার (সুফি) এর বাসার ক্ষতি হচ্ছে বলে অভিযোগও করা হয়েছে।
বহুতল ভবন নির্মান কাজের নিয়ম কানুন এ বলা আছে, ইমারত নির্মাণ আইন ১৯৫২-এর ক্ষমতা বলে সরকার ১৯৯৬ সালে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা সংশোধন করে পূর্নাঙ্গ আইনে রূপ দিলেও ওই বিধিমালায় ইমারত নির্মাণ অনুমোদন, সরকারী অনুমোদন ফি, নকশা, সড়কের দূরত্ব, প্রনয়ণকারীর যোগ্যতা, অনুমোদনের জন্য আবেদনটি যাচাই-বাছাই করে নিস্পতিসহ ইমারত কিংবা ভবন নির্মাণে কী ভাবে হবে ওই আইনের ৩ (ক) ধারায় উদ্দেশ্যে ব্যাতীত অন্য কোন কাজে ব্যবহার করা যাবে না বলা হলেও সেক্ষেত্রেও ‘কাজীর গরু কিতাবে আছে, গোয়ালে নেই’-এমন অবস্থা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
পৌর বিধি মোতাবেক সড়ক থেকে ভবনের দুরত্ব কমপক্ষে ৫, ক্ষেত্র বিশেষে নূন্যত ৩ ফুট জায়গা ফাঁকা রেখে তবেই ভবন নির্মাণ করতে হবে। যদি কেউ সীমানা প্রাচীরকে কক্ষের দেয়াল হিসেবে নির্মাণ করেন, তাহলে তার বিরুদ্ধে পৌর বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারী নিয়মনীতি উপেক্ষা করে বহুতল ভবন নিমার্ণ করলেও সেক্ষেত্রে পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অনেকটা ‘ঠুটো জগন্নাথ’-এর মতোই।
পৌর সভার টাউন প্ল্যানার মো: অনিসুর রহমান বলেন, এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর ভবন মালিককে লিখিত ভাবে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাজ বন্ধ আছে।
সিরাজগঞ্জ পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: মাসুদ হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর পৌর সভার টাউন প্ল্যানারকে সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত করার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্ত বলেন, ৬তলা ভবনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তারা পৌর আইন ভেঙ্গে কাজ করায় তাদের কাজ বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন কাজ করতে হলে ডিসি অফিসের অনুমতি লাগবে।
Posted ৬:১০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD