সিরাজগঞ্জে মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলস্ এর বিরুদ্ধে নকল মনোগ্রাম ব্যবহার করে সুতা প্রস্তুত ও বাজারজাত করার অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে প্রতিষ্ঠানটি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই নকল মনোগ্রাম ব্যবহার করে সুতা বাজারজাত করে আসছে।
আজ মঙ্গলবার (৮ ফেব্র“য়ারী) দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নের বিলধলী গ্রামে মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলস নামে আবাসিক এলাকায় বিশাল একটি কারখানা। কারখানাটিতে কোন সাইন বোর্ড লাগানো হয়নি। প্রধান গেটও বন্ধ রয়েছে। কারখানার ভিতর প্রবেশ করে দেখা যায়, মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলের মনোগ্রাম ছাড়াও, লিটন ব্রাদার্স জড়ি হাউজ, রুপা কটেজ ইন্ডাট্রিজ, তিন হাতী মার্কা সুতাসহ প্রায় ১৫টি কোম্পানীর মনোগ্রাম লাগিয়ে সুতা প্যাকেট করা হচ্ছে। প্যাকেটজাত শেষে এগুলো বাজারজাত করা হবে।
লিটন ব্রাদার্স জড়ি হাউজ, রুপা কটেজ ইন্ডাট্রিজের মালিক বাসুদেব রায় ও সুদেব সাহা জানান, মল্লিক টুইষ্টিং মিলের মালিক এর আগে আমাদের মনোগ্রাম নকল করেছিল। আমরা নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগ করলে আমাদের মনোগ্রাম ব্যবহার বন্ধ করে দেন। আবারও যদি শুরু করে তাহলে আবারো লিখিত অভিযোগ দিব।
মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলগ্রের পরিচালক প্রদীপ কুমার সাহা বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, মনোগ্রাম, ট্রেড লাইন্সেন আমাদের লাগে না। আমরা দীঘদিন যাবত এইভাবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছি।
মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলগ্রের স্বত্ত্বাধিকারী পীযুষ কুমার সাহা বলেন, আমার কারখানার সমস্ত কাগজপত্র আছে। কিন্তু আপনাদের দেখানো যাবেনা। আমি গত ১০ বছর ধরে সকলকে ম্যানেজ করেই এই প্রতিষ্ঠান চালিয়ে আসছি।
সিরাজগঞ্জ জেলা টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিল সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হান্নান শেখ জানান, মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলগ্রে কাগজপত্র সম্পর্কে জানি না। তবে অন্যের মনোগ্রাম ব্যবহার করা দন্ডনীয় অপরাধ।
এবিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সেলিম আহমেদ জানান, বিলধলীতে টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিল আছে শুনেছি। তবে এর বিস্তারিত আমি জানি না।
সদর উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এস এম রবিন শীষ জানান, টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিরে কেমিক্যাল, এসিডসহ নানা উপকরন ব্যবহার করা হয়। এই উপকরন ব্যবহার করতে অবশ্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগবে। আমি দ্রুত খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।
পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের বগুড়া অঞ্চলের পরিচালক সুফিয়া নাজিম জানান, আবাসিক এলাকাতে ছাড়পত্র দেয়ার বিধান নাই। আর কেমিক্যাল জাতীয় উপকরন ব্যবহারে অবশ্যই ছাড়পত্র লাগবে। মেসার্স মল্লিক টুইষ্টিং এন্ড জড়ি মিলগ্রে ছাড়পত্র মনে হয় নেই। তবুও খোজ নিয়ে দেখছি।
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাশুকাতে রাব্বী জানান, অন্যের মনোগ্রাম ব্যবহার করা প্রতারণার সামিল। তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৯:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD