সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার তাড়াশ-রানীহাট আঞ্চলিক সড়কে রয়েছে বেশ ক’টি শত বছরের পুরনো বড় বড় বটবৃক্ষ।
এর মধ্যে থেকে ১৮টি বটবৃক্ষ কেটে ফেলা হয়েছে। যা নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গাছ কাটার বিষয় কোন নোটিশ পায়নি সিরাজগঞ্জর সড়ক ও জনপদ বিভাগ, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিস ও উপজেলা বন বিভাগ।
সরেজমিনে দেখা যায়, শতবর্ষী বিশাল আকৃতির এ বটগাছটি প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন শ্রমিক মিলে কাটছে। গত দুই তিনদিন ধরে চলা কাজ যেন শেষ করতে পারছে না শ্রমিকরা। কেউ গাছের ডাল আবার কেউবা কাটছে গাছের গোড়া। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাছটি কাটার জন্য কাছ করছেন তারা। আবার অনেকেই কালের সাক্ষী এ গাছটি কাটার দৃশ্য দাঁড়িয়ে দেখছেন অথবা মোবাইলে ভিডিও করছেন।
উপজেলার তালম ইউনিয়নের গোন্তাবাজারে সবজি বিক্রিতা সেরাজ ফকির বলেন, বটগাছটি কালের সাক্ষী হয়ে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে ছিলো। গাছটির ছায়ার নিচে অনেক সবজি বিক্রি করেছি। কিন্তু বর্তমানে গাছটি কেটে ফেলার ফলে সেই দৃশ্য হয়তো আর দেখা যাবে না। তাই গাছটি কেটে ফেলা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
তাড়াশ ডিগ্রি কলেজের উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান চন্দ্র নারায়ন ভৌমিক বলেন, মানুষদের বেঁচে থাকতে হলে গাছের কোন বিকল্প নেই। একটি গাছ কর্তন করা হলে আরো অন্তত ১০টি গাছ রোপণ করা প্রয়োজন। গাছ প্রাকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করে। ওই রাস্তার দুপাশে যে শতবর্ষী গাছ গুলো কেটে ফেলা হয়েছে, তা ছিলো কালের সাক্ষী। এছাড়াও তিনি সবাইকে বেশি বেশি গাছ লাগানোর আহবান জানান। এ ছাড়াও তিনি আরো বলেন, গাছ বেঁচে থাকার জন্য অক্সিজেন, পশু-পাখির খাদ্য যোগাতে এবং পরিরেশের ভারসাম্য রক্ষায় সহায়তা করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জর সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দিদালুর আলম তরফদার ও তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল করিম বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই।
Posted ৮:৫৮ অপরাহ্ণ | রবিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD