বগুড়ার সারিয়াকান্দির ঐতিহ্যবাহী চন্দনবাইশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় যমুনা নদী ভাঙ্গনের কারনে হাড়িয়ে গেছে ঐতিহ্য। পাঁচ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়ে অবকাঠামো সমস্যার মধ্যে লেখা-পড়া করছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯২০ইং সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্থানীয় বিদ্যানুরাগীরা। এর পর থেকে পথ চলা বিদ্যালয়টির। তবে ১৯৯১ইং সালের দিকে প্রথম যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পরে। তারপর গড়া হয় নতুন একটি ভবন। এ ভবনটিও ভেঙ্গে যায় ১৯৯৫ইং সালে। এভাবে ভাঙ্গা-গড়ায় পাঁচ বার ব্যস্ত থাকতে হয় স্থানীয়দেরকে। তবে সর্বশেষ ২০১৯ইং সালে ভাঙ্গনের পর নতুন করে নাম মাত্র টিন সেড ঘরে পাঠদান চলতে থাকে বিদ্যালয়টিতে। টিনের ঘরটি বর্তমানে উঠানো হয়েছে চন্দনবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর পার্শ্বে হিন্দু পাড়াতে। এ পাড়ার ৭০জন কোমলমতী ছাত্র-ছাত্রী লেখাপড়া করে থাকে এখানে। পারিবারিক জীবনে ছাত্র-ছাত্রীদের সীমাহীন দারিদ্রতার মধ্যে লেখা-পড়া করলেও বিদ্যালয়ে এসে অবকাঠামোগত সমস্যায় পরে ঠিকমত লেখা-পড়া হয় না তাদের। বর্তমানে ওই ঘরে পাঠদান চললেও দরিদ্র হেনা বেগমের পাওয়া সরকারী ঘরে চলে লাইব্রেরীর কাজ।
বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির ছাত্র সজল বলেন, বিদ্যালয়েতো অনেক সমস্যা, নেই ঘর-দোর, ঠিকমত বসার জায়গা, বিদ্যালয়ে আসার রাস্তা, না আছে খেলার মাঠ। বিদ্যালয়ে কোনো হালে লেখা-পড়া করে থাকি আমরা।
প্রধান শিক্ষক মোছা: লুবনা পারভীন বলেন, এ পাড়ার লোকেরা খুবই দরিদ্র। অনেক ছাত্র-ছাত্রী বিদ্যালয়ে না খেয়ে আসে। এছাড়াও অবকাঠামো সমস্যার কারনে পাঠদান করতে ব্যবহত হয়। বর্ষার মৌসুমে বিদ্যালয়ের জায়গা নিচু হওয়ার করানে পানি জমে থাকে। আবার শুষ্ক মৌসুমে মেঝের ধুলো-বালুতে লুটোপুটি খেয়ে পাঠদান করতে হয় আমাদের।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: গোলাম কবির বলেন, বিদ্যালয়টি শতবর্ষী, ঐতিহ্যবাহী হলেও নদী ভাঙ্গনের কারনে আমাদের করার কিছুই থাকছে না। তবে আমরা এরই মধ্যে ইউএনও, সহকারী শিক্ষা অফিসারসহ বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছি। আশা করছি আপাতত খুব শিঘ্রই নতুন টিন সেড ঘর করতে পারবো। এছাড়াও সরকারী বিধি অনুযায়ী আমরা উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি কয়েক বছরের মধ্যেই একটি সুন্দর ভবন নির্মান করতে সক্ষম হব।
Posted ৪:৪২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১০ নভেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD