বগুড়া সারিয়াকান্দিতে শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর সদস্যদের
সঞ্চয় করা টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। আজ সোমবার সমিতির সদস্যরা
মানববন্ধন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের টাকা উদ্ধারের দাবিতে স্মারক লিপি দিয়েছেন।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিনুত হয়। মানববন্ধনে প্রায় ৩০০ শতাধিক সদস্য,
সদস্যা অংশ নেন।
মানববন্ধনে আসা সমিতির সদস্য কাকলী বেগম বলেন, আমরা ২০১৮ সালে যমুনা ভাঙ্গনে সর্বশান্ত হওয়া লোকজনরা মিলে বাঁধবাসী একতাবন্ধ শ্রমজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড এর নিকট
তাদের শর্ত মোতাবেক নিজদের কষ্টে অর্জিত অর্থ সঞ্চয় হিসাবে সঞ্চিত করতে থাকি। সারিয়াকান্দি পৌর
এলাকার বাড়ুইপাড়া নামক গ্রামে ২০০৪ই সালে একটি অফিস ঘর স্থাপন করে সমিতির কার্যক্রম পরিচলনা
করতে থাকে।পরে ২০১৮ ইং সালে উক্ত সমিতি উপজেলা সমবায় অফিস কর্তৃক নিবন্ধিত হয় এবং যার
রেজিঃ নং-বগুড়া-২৬/২০১৮। বর্তমানে উক্ত সমিতির প্রায় ৬০০ জনের অধিক সদস্য রয়েছে। সমিতি
গঠনের পর থেকে আমার মাসিক এককালীন, দৈনিক সঞ্চয়, বিভিন্ন প্যাকেজে টাকা জমা করে আসছি।
বর্তমানে সদস্যদের সঞ্চয়ের অর্থ দাড়ায় সমুদমুয়ে প্রায় আড়ই কোটি টাকা মতো জমা হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে
সমিতি কিছু সদস্যদের মধ্যে ঋণও প্রদান করেছেন সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। খেয়ে না খেয়ে
সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাস সদস্যরা উক্ত টাকা গুলো সঞ্চয় করেন। কিন্তু শর্ত অনুযায়ী সদস্যদের
প্রাপ্ত টাকা সময় মতো ফেরত প্রদানের কথা থাকলেও গত আগষ্ট/২০২১ মাস হতে অর্থ ফেরত প্রাপ্ত সদস্যদের না
না অজুহাত দেখিয়ে পর পর সময় নিতে থাকেন। এমতবস্থায় গত ৩১/১১/২০২১ ইং তারিখে প্রায় অনেক
সদস্যদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্ত উক্ত তারিখের দিবাগত রাতে সমিতির সভাপতি
খোরশেদ আলম ভাসানি, সহ-সভাপতি জহির রায়হান (উকিল), সাধারণ সম্পাদক টুকুসহ তাদের
সহযোগীগণ সমিতির সমুদয় টাকা নিয়ে রাতের অন্ধকারে সমিতির অফিস ঘরসহ তাদের বসত ভিটাতে তালা
ঝুলিয়ে পালিয়ে যায় এবং তাদের আর কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। সে থেকে আমরা সরকার বিভিন্ন দপ্তরে
আশ্রয় নিয়েছি। কিন্তু কেউই আমাদের সঞ্চিত টাকা উদ্ধারে ব্যাপারে কোন ধরনের পদক্ষেপ নেননি। বর্তমানে
হতাশা হয়ে এই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছি।
মানববন্ধনে আসা সোলেমান, মোরশেদা বেগম, ফাইন মিয়া সহ
অন্যান্য ভুক্তভোগী সদস্যরা বলেন, আমরা যেকোন মূল্যে তাদের সন্ধান চাই এবং আমাদের প্রাপ্ত টাকা ফেরত
চাই।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রেজাউল করিম বলেন, আমি তাদেরকে মামলা করার জন্য
পরামর্শ দিয়েছি। তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।জনগণকে ব্যাংক, বিমা, ডাকঘর
অর্থ্যাৎ সরকারী যেকোন প্রতিষ্ঠানের অর্থ জমা করার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।।
Posted ৯:০০ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২৩ মে ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD