বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘড় ওয়ারিং বাবদ উপযুক্ত পারিশ্রমিক না দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাইতে গিয়ে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম কর্তৃক ইলেকট্রিশিয়ানদের লাইসেন্স বাতিলের হুমকি ধামকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। লাইসেন্স বাতিলের কথা শুনে ইলেকট্রিশিয়ানরা বর্তমানে ভয়ে তটস্থ হয়ে পড়েছেন।
স্হানীয় সুএে জানা গেছে,সারিয়াকান্দি চরাঞ্চলের বিভিন্ন স্হানে সরকারী ভাবে ২৯৫ টি আশ্রয়ের প্রকল্পের ঘড় নির্মাণ করা হয়।গরীব অসহায়দের এই ঘড় বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করতে, বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ২ আওতায় ২২ জন ইলেকট্রিশিয়ান দুর্গম চরাঞ্চলে গিয়ে বহু কষ্টে ওই সব ঘড় ওয়ারিং করেন।কাজ শুরুতে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর ডিজিএম মোঃশফিউদ্দিন আহম্মেদ এর সাথে প্রতি ঘড় ওয়ারিং বাবদ ৫০০ টাকা দেয়ার কথা হয়।দীর্ঘ সময়, যথাযথ কাজ করার পরও ঘড় প্রতি ৩০০ টাকা করে পরিশোধ করা হয় । ভয়ে সে সময় গরীব ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ানরা কানা ঘুষা করলেও, পরে ইলেকট্রিশিয়ানরা ক্ষোভে ফেটে পরেন। এখন ইলেকট্রিশিয়ানরা ডিজিএম এর বিরুদ্ধে বিভিন্ন আন্দোলন করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন।
ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ানরা গত মঙ্গলবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, রোদ, ঝড় বৃষ্টি,পায়ে হেটে দুর্গম চরাঞ্চলে গিয়ে, দিনের পর দিন সময় নষ্ট করে আমরা চুক্তি মোতাবেক ঘড় গুলো ওয়ারিং করে দিয়েছি, কিন্তু আমাদের ডিজিএম স্যার প্রভাব খাটিয়ে আমাদের উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিচ্ছেন না। ৫’শ পরিবর্তে ৩’শ টাকা করে দিয়ে বাকী ২’শ টাকা তিনি সুকৌশলে মেরে খাচ্ছেন।আমরা গরীব ভিলেজ ইলেকট্রিশিয়ান ঘড় প্রতি ২’শ টাকা করে মেরে খাওয়াই আমরা হতবাক-বিস্মিত।এ নিয়ে আমরা সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে আবেদন করেছি। কাজ না হলে পরে আমরা আন্দোলন গড়ে তুলব।
এ ব্যাপারে ওয়ারিং পরিদর্শক মোঃসাদেকুল ইসলাম বলেন,তারা কাজ করেছেন যথাযথ, কিন্তু উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পেলে, তাদের মন খারাপ করা স্বাভাবিক।
এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর ডিজিএম মোঃশফিউদ্দিন আহম্মেদ বলেন,তাদের সাথে ঘড় প্রতি ওয়ারিং বাবদ ৩০০ টাকা করে চুক্তি হয়েছিলো।আমি সমিতির ২০০ টাকা করে বাঁচিয়ে দিয়েছি মাএ। আমি কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি।
Posted ৬:২৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | Sazu Mia