বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি। বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে যমুনার পানি।পানিতে বালুর বস্তা ফেলে নদী ভাঙন ও মানবিক বেড়ীবাঁধ ঠেকানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গত কয়েক দিনে ৯ লাখ টাকার ২ হাজার বালুর বস্তা পানিতে ফেলা হলেও তা কোন কাজে আসেনি।
আজ সোমবার (২০ জুন) পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বালুর বস্তা ফেলানো বন্ধ রাখা হয়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের রৌহাদহ ও ইছামারা এলাকায় নদী ভাঙন ঠেকাতে যমুনা নদীতে বালুর বস্তা ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, গলা পানিতে নেমে ঠিকাদারের লোকজন ভাঙন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলছেন। বস্তা ফেলানোর কাজে নিয়োজিতরা বলছেন, পানি বেশি হওয়ার কারণে বস্তা কোথায় পড়ছে তা বোঝা যাচ্ছে না। এভাবে গত কয়েক দিনে সেখানে ২ হাজার বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। ২ হাজার বস্তার বিপরীতে ঠিকাদারকে পানি উন্নয়ন বোর্ড বিল পরিশোধ করবে প্রতি বস্তা ৪৫০ টাকা হারে ৯ লাখ টাকা।
স্থানীয লোকজনের মতে, গত এক সপ্তাহে ফেলানো ২ হাজার বালুর বস্তা বাবদ ৯ লাখ টাকা যমুনার জলে গেছে। এই কাজ জনগনেণের কোন উপকারে আসবে না। তারা বলেন, গভীর পানিতে বালুর বস্তা ফেলে ভাঙন ঠেকানো যাবে না। তাদের অভিযোগ একমাস আগে ইছামারা গ্রামে পুরাতন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় নদী ভাঙন দেখা দেয়। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করেছে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পরে। ফলে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।
এদিকে রোববার (১৯ জুন) রাতে বগুড়ায় ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ায় যমুনা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। রাতে বগুড়ায় ৮৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সোমবার (২০ জুন) বিকেল ৩টা পর্যন্ত যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সারিয়াকান্দি এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত উপসহকারী প্রকৌশলী আহসান হাবিব বলেন, জরুরি রক্ষণাবেক্ষণ কাজে বালুভর্তি জিও ব্যাগ নদীতে ফেলানো হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সোমবার থেকে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
Posted ৭:২৪ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ জুন ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD