সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি কমলেও বেড়েছে বাঙালি নদীর পানি। বাঙালি নদীতে শনিবার বিকালে পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করছে। সর্বশেষ মঙ্গলবার সকালে বিপদ সীমার ৩০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। বিপদসীমা অতিক্রম করায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ না করলেও উঠতি আমনের জমিতে পানি প্রবেশ করছে।
বগুড়া জেলার বাঙ্গালী নদীর অববাহিকায় ৫ টি উপজেলায় কমপক্ষে ২৪১ হেক্টর জমির উঠতি আমন ফসলের জমি বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এছাড়াও বাঙ্গালী নদীর বিভিন্ন স্হানে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে ভাঙ্গনে বহু আবাদি জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, উজানের নেমে আসা পানিতে জেলায় বন্যার পানি প্রবেশ করায় পূর্ব বগুড়ার সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, শিবগঞ্জ, গাবতলী ও ধুনট উপজেলায় আমনের জমিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। জমিতে আজও বন্যার পানি প্রবেশ অব্যাহত আছে। এতে ৩ দিন হলো আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে আছে।
এছাড়াও বাঙ্গালী নদীর ভাঙ্গনে হাটশেরপুর ইউনিয়নের গোদাগাড়ী, বলাইল, গনকপাড়া, ফুলবাড়ি ইউনিয়নের কাটাখালী, রামচন্দ্রপুর, ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ছাইহাটা সহ ধুনট ও সোনাতলা উপজেলার ‘শ ‘শ হেক্টর ফসলী কেমন আছো জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।
স্থানীয় এক বাসিন্দা আলোকিত বগুড়াকে বলেন, ভাঙ্গন তো কোন ক্রমেই কমছে না। পানি প্রবেশ করে আমন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাহলে ‘শ ‘শ কোটি টাকা ব্যয়ে বাঙ্গালী নদী খনন করে আমরা কি লাভ পেলাম?
বগুড়া জেলা কৃষি কর্মকর্তা মতলুবুর রহমান আলোকিত বগুড়াকে বলেন, আমন ধানের জমিতে বন্যার পানি প্রবেশ করলেও যদি দ্রুত জমি থেকে বন্যার পানি নেমে যায়, তবে আমন ফসলের তেমন একটা ক্ষতি হবে না।
Posted ৬:৪৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD