সারিয়াকান্দি উপজেলায় ফুলকপি, বাঁধাকপির দরপতন হয়েছে। আর মুলার বাজার দর না থাকায় চাষীরা জমিতেই মুলা রেখে দিচ্ছেন। পরবর্তীতে তা নষ্ট করে দিয়ে অন্য ফসলের আবাদ করছেন। বাজারে এ তিনটি সবজির দাম এমন হওয়ায় চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র ও কৃষি অফিস জানায়, এ উপজেলায় বন্যার পর পরই চাষিরা বিভিন্ন রকমের সবজির চাষ করেছিলেন। বাজারে দামও পেয়েছিলেন ভাল। তবে দ্বিতীয় দফায় শীতকালীন সময়ে ব্যাপক হারে সবজি চাষ করেছিলেন। চাষিদের আশা ছিল ভালো দাম পাবেন। কিন্তু তা হয়নি। জানা গেছে শীতকালীন সবজির মধ্য মুলা চাষ করা হয়েছিল প্রায় ৪০ হেক্টর জমি। এ জমি থেকে ৮’শ মেট্রিক টন মুলা উৎপাদন হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানান। এছাড়াও ফুলকপি চাষ করা হয়েছে ২০ হেক্টর জমি আর বাঁধাকপি চাষ করা হয়েছে ১৫ হেক্টর জমি। এ পরিমাণ জমি থেকে ৩২০ মেট্রিকটন ফুলকপি, ২৭০ মেট্রিক টন বাঁধাকপি জমি থেকে উৎপাদন হওয়ার কথা জানা গেছে।
মাস খানেক পূর্বে বাজারে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও মুলার চাহিদা থাকায় দাম মোটামুটি ভাল ছিল। তবে এখন দাম একেবারেই নেই। দেড় থেকে দুই কেজি ওজনের বাঁধাকপি প্রতিটি ৩ থেকে ৫ টাকা আর ফুলকপি প্রতি কেজি ৪ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন কোন চাহিদা নেই মুলার। চাহিদা না থাকায় চাষিরা জমিতেই মুলা নষ্ট করে ওই জমিতে অন্য ফসলের আবাদ করছেন। ফুলকপি, বাঁধাকপি দরপতনের কারণে চাষিদের মাথায় হাত পরেছে। চাষিরা বলছেন, জমি থেকে উত্তোলনের পর বাজারে নিতে যে পরিবহন খরচ হচ্ছে তাই উঠছে না।
হাটশেরপুর ইউনিয়নের নয়াপড়া চরের জুয়েল শেখ বলেন, ৮শতক জমিতে মুলা, ২০ শতক জমিতে ফুলকপি চাষ করেছিলাম। আশা করেছিলাম দাম ভাল পাবো। খুব যত্ন সহকারে ফসল দুটির চাষ করেছিলাম। উৎপাদনও হয়েছে ভাল কিন্তু চাহিদা ও বাজারে দাম না থাকায় আমি হতাশ।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ আব্দুল হালিম জানান, আগাম সবজি চাষে দাম ভাল ছিল। পরবর্তীতে অনেক চাষি লাভের আশায় চাষ করেছিল। আবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন হয়েছিল ভাল। এ মৌসুমে উৎপাদন বেশি হওয়ার কারণে বর্তমান সময়ে ওই তিনটি ফসলের দামের পতন হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই এ অবস্থা কেটে যাবে।
Posted ৪:৩৯ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTI SHOPON MAHMUD