বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমন চাষীদের ঘরে ঘরে এখন নতুন ধানে নতুন পিঠে খাওয়ার স্বপ্ন-স্বাদ মনে দানা বাধঁতে শুরু করেছে। এ মৌসুমে বন্যার ঝুঁকি কেটে যাওয়ায় ও আমন ধান গাছের চেহারা ভালো থাকায় এই আশা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন আমন চাষীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কারনে ফসলী জমির ধরন দুই ভাগে বিভক্ত। একটি চরাঞ্চল ও অপরটি বিল এলাকা হিসেবে পরিচিত। বিল এলাকায় বাঙালী নদী থাকলেও চলতি মৌসুমে উজানের ঢলের পানি না আসায় বন্যা হয়নি নদীটিতে। ফলে চাষীরা বিস্তিৃর্ণ এলাকা জুড়ে হরেক রকমের ফসলের চাষ করেছেন। তবে উল্লেখযোগ্য পরিমান আমন ধান চাষ হয়েছে। অপর দিকে যমুনা নদীতে বন্যা হয়ে গেলেও সম্প্রতি সে পানি নেমে গিয়ে, জেগেছে বিশাল পলিমাটি পরা উর্বর চরাভূমি। এসব চরাভূমিতে স্থানীয় জাতের গাইঞ্জা ধান রোপনের ধুম পরলেও বিল এলাকার চাষীরা জমিতে বিভিন্ন জাতের আমন ধানের চাষ করেছেন দু মাস আগে। উন্নত জাতের রঞ্জিত, বিআর-১১, ৬২, ৭২, ৮৯, ৮৭ উল্লেখযোগ্য।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর ১২ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৭’শ হেক্টর গাইঞ্জা ও ৯ হাজার ৭’শ হেক্টর জমিতে উন্নত জাতের আমন ধান চাষ করা হয়েছে। চাষীরা যে যেখানে যে জাতের ধান চাষ করেছেন, গাছের চেহারা খুবই ভালো। ধান গাছের চেহারা দেখে চাষীদের মনে নতুন করে স্বপ্ন দেখা দিয়েছে।
চাষীরা বলছেন, আমন ধান পাব, ধান থেকে হবে চাল, তারপর নতুন চালের বিভিন্ন রকমের পিঠা, পায়েশ, তৈরী হবে। মেয়ে জামাই, জামাই, নাতী-পুতিদের নিয়ে খাওয়ার ধুম পরবে সেসব পিঠা।
সদর ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী গ্রামের চাষী আব্দুল খালেক বলেন, আমি এবার দুই বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছি। ধান খুব ভালো হয়েছে ধান গাছ। ধান গাছে রোগ-বালাই নেই বললেই চলে। আশা করি নতুন চালে আমরা নতুন পিঠা খেতে পারবো এবার।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দুল হালিম বলেন, আমন ধানের আবাদ খুব ভালো হয়েছে। বৃষ্টি পরিমাণ মত না হলেও চাষীরা সেচ দিয়ে ভালো ফলন আশা করছেন। আশা করছি আমনের ফলন এবার খুব ভালো হবে।
Posted ১১:৫০ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD