বগুড়ার সারিয়াকান্দির চন্দনবাইশা ইউনিয়ন এলাকায় কালোবাজারীদের অপ-তৎপরতা দিন দিন বাড়ছে। বিভিন্ন রকমের লোভনীয় কথা বলে কার্ডধারীদের ভুল বুঝিয়ে অধিক লাভের আশায় চাল ক্রয় করছেন। প্রশাসনের সাথে গোপন আতাতের কারণে কালোবাজারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি মাসে একবার সমাজের অসহায় মহিলাদের জন্য ভিজিডি কার্ডের চাল দেওয়া হয়ে থাকে। এছাড়াও বছরে ৫ মাস হত দরিদ্রদের জন্য খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতারণ করা হয়ে থাকে। এ চাল বিতরণের সময় এলেই স্থানীয় কালোবাজারীরা তৎপর হয়ে ওঠেন। কালোবাজারীরা যে কোন মূল্যে কার্ডধারীদের নিকট থেকে চাল কেনা চাই। তারা কার্ডধারীদের বোঝান যে সরকারী চাল অনেকদিনের পুরানো, খুব নিম্নমানের এবং খাবার অযোগ্য বাড়িতে নিয়ে চাল খেতে পারবেন না। অতএব আমার অধিক মূল্য দিচ্ছি চাল আমাদের কাছে বিক্রি করে দেন। কালোবাজারীরা এসব চালের বস্তা কেনার পর তারা স্থানীয় চাতাল, চাল ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কাছে বিক্রি কয়ে দেয়। চাতাল ও মিল মালিক ও ব্যসায়ী সরকারী বস্তার মোরক পাল্টিয়ে নতুন বস্তায় উঠানোর পরে স্থানীয় খাদ্য গুদামে বিক্রি করে দেন। এ কাজে যুক্ত আছেন চন্দনবাইশা ইউনিয়নের কমপক্ষে ৬জন ব্যক্তি। সবাই তাদেরকে চেনেন ও জানেন।
চন্দনবাইশা ইউনিয়নের কার্ডধারী ওসমান গণি বলেন, চালের মান যেহেতু ভালো না সেহেতু বিক্রি করার পর বাজার থেকে মানসম্মত চাল কিনে নিয়ে যাই। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টায় চন্দনবাইশা ইউনিয়নের ঘুঘুমারী গ্রামের মৃত: শামছ উদ্দিনের স্ত্রী মর্জিনা বেগমের ঘরে ভিজিডি কার্ডের ২৮বস্তা চাল আটক করা হয়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে রহস্যজনক কারনে ফিরে আসেন।
মর্জিনা বেগম বলেন, আমি বাড়ীতে ছিলাম না। ওই সময় কে বা কারা ২৮বস্তা ভিজিডি কার্ডের চাল রেখেছিলো ঠিকই, তবে আমি তাদের চিনিনা।
চন্দনবাইশা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শফিউল আলম মনি বলেন, স্থানীয় কামাল হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক ও টুকুসহ বেশ কয়েকজন চাল কিনেছিলো। তাদের চাল রাত ৯টার দিকে চন্দনবাইশা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ গিয়ে তা আটক করে। সে ঘটনাটি রাতারাতি-ই মীমাংসা হয়ে গেছে। সবাইকে ম্যানেজ করে ঘটনাটি মীমাংসা করা হয়েছে
অতএব বিষয়টি না ঘোলা করাই ভালো।
এ ব্যাপারে চন্দনবাইশা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুন নবী হিরো বলেন, আমার ইউনিয়ন ওই দিন ১৬৫বস্তা ভিজিডি কার্ডের চাল বিতরণ করা হয়েছে। কার্ডধারীরা রাস্তার মধ্যে বা বাড়ীতে নিয়ে কি করেছেন তা আমার জানার কথা না।
পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ দুরুল হোদা বলেন, ডিএসবি এসআই আমজাদ হোসেন বিষয়টি জানিয়েছিল। পরে স্থানীয় কেউ না জানানোর কারনে আমরা ঘটনাস্থলে যাইনি।
Posted ১০:২৪ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD