বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতারসহ হত্যার রহস্য উম্মোচন করেছেন থানা পুলিশ।
আজ শনিবার দুপুরে সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী-সারিয়াকান্দি সার্কেল) নিয়াজ মেহেদী প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, শাজাহানপুর উপজেলার নন্দগ্রামের মৃত্যু ছায়েদ আলীর ছেলে মো. দুলাল (১৫), একই এলাকার রনির স্ত্রী বিথী আক্তার (২২) ও বগুড়া সদরের মালগ্রাম মধ্য পাড়ার মো. হাসান খান মুল হোতা শাজাহানপুরের বিল্লাল হোসেনের ছেলে রনিকে বগুড়া র্যাব গ্রেফতার করেছেন। সারিয়াকান্দির কালিতলা ঘাটের বিপ্লব ষ্টোর এবং গ্যারেজের টোকেনের সুত্রধরে হত্যার রহস্য উম্মোচন ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত আসামী গ্রেফতার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানিয়েছেন, বগুড়া সদরের মালগ্রামের বাসিন্দা জিহাদ বাবু (১৭) সে একই গ্রামের আতাউর রহমানের ছেলে। তাদের গ্রামের বাড়ি গাবতলীর নসিপুর গ্রামে।জিহাদ বাবু অটোরিক্সা চালিয়ে জীবন জীবিকা নির্বাহ করতেন। ৫ অক্টোবর সকাল ৮ টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে সপরিবারে বেড়ানোর কথা বলে অটোরিক্সা ভাড়া নেয়। বিকল্প পথ তরনীর হাট- জোড়গোছা কুতুবপুর সড়ক হয়ে সারিয়াকান্দির কালিতলা ঘাটে আসে।কালিতলার একটি গ্যারেজে অটোরিক্সা রেখে তারা যমুনা নদীর দারুনা গজারিয়া চরে কাশবনে বেড়াতে যায়। যদিও এ সময় আবহাওয়া ছিলো দুর্যোগপূর্ণ। বিকাল ৫ টায় আসামী রনি বা হাতে অটো চালক জিহাদ বাবুর গলা ঝাপটে ধরে এবং ডান হাতে থাকা বার্মিজ চাকু দিয়ে এলোতাথাড়ি পেটে আঘাত করে। এতেও মৃত্যু নিশ্চিত না হলে পরস্পর অন্যান্য আসামীরা চাকু দিয়ে একাধিক আঘাত ও ওরনা পেঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে কালিতলা ঘাটের গ্যারেজে ফিরে আসে।গ্যারেজের মালিক টোকেন ছাড়া অটোরিক্সা দিতে না চাইলে তারা বিভিন্ন ভুলভাল বুঝিয়ে একটি ছবি তোলা ও মোবাইল নাম্বার দেওয়ার শর্তে অটোরিক্সটি হাতে নেয়। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিয়াজ মেহেদী আরও জানান,শনিবার সকালে আসামীদের বগুড়া কোর্টের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)রাজেশ কুমার চক্রবর্তী, এস আই আওয়াল কাফি, এস আই হোসেন আলি, এস আই নজরুল ইসলাম,এস আই রফিকুল ইসলাম,এ এস আই জানে আলম,রশিদুল ইসলাম
Posted ৬:৫৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | Sazu Mia