বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ৯৩ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে কাজল ইউনিয়ন পরিষদ এলাকা থেকে ফড়িয়াদের কাছ থেকে এ চালগুলো উদ্ধার করা হয়। চাল উদ্ধারের ঘটনায় থানায় মামলা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানিয়েছেন, উপজেলার কাজলা ইউনিয়নে সরকার বান্ধব খাদ্য কর্মসূচি আওতায় দুই জন ডিলার নিয়োগ করা হয়েছে। তারা হলেন আব্দুস সোবাহান ও আনিস মোল্লা। আনিস মোল্লার নামে বরাদ্দ ছিলো প্রায় ২০ টন এবং আব্দুস সোবাহানের নামে বরাদ্দ ছিলো প্রায় ১৯ টন চাল। এর মধ্যে আনিস মোল্লার ৮৫২ ও আব্দুস সোবাহানের ছিলো ৪৮২ জন ইউনিয়ন এলাকার হত দরিদ্রের নামের তালিকা। তারা সরকার নির্ধারিত নিমানুযায়ী সকাল থেকে চাল বিতরণ কার্যক্র শুরু করেন ।হত দরিদ্ররা ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি ওজনের চালের বস্তা ডিলারের কাছ থেকে নেন। কিন্তু হতদরিদ্র পরিবারগুলো অধিকাংশই চালের বস্তা বাড়িতে না নিয়ে ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি ওজনের সরকারি বস্তায় চাল নেওয়ার পর, ১০৫০ টাকায় পথের মধ্য বিক্রি করে দেন। কার্ডধারীদের কাছ থেকে চাল ক্রয় করে ফরিয়া যাওয়ার সময় সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চালের বস্তা হওয়ায় চালগুলি স্থানীয় আটক করে পুলিশে খবর দেয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৯৩ বস্তা চাল জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়।
চর পাকেরদহ গ্রামের কার্ডধারী মোমেনা বেগম ও ছামিতন বেগম বলেন,এগুলো চাল তো খাওয়া যায় না। সংসারের নানা প্রয়োজনে আমরা চাল গুলো বিক্রি করেছি।এতে দোষের কি?
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক কার্ডধারী বলেন, আমাদের চাল আমরা খাবো নাকি, বিক্রি করবো তা বলার আপনারা কে?
সাদেক আলী, মহসিন আলী ব্যাপারী বলেন, চাল গুলো প্রথমে কিনে নেয় ফরিয়ারা। তারা বিক্রি করে মিল মালিকদের কাছে। মিল মালিকরা পরে তা আবার পুনরায় নতুন বস্তায় তুলে আবারও খাদ্য গুদামে দেন।
এ ব্যাপারে ডিলার আনিস মোল্লা ও আব্দুস সোবাহান বলেন,আমরা সময় মতো কার ধারীদের হাতে চাল তুলে দিয়েছি। ভোক্তারা চাল বাড়ি নিয়ে যাবে কি বিক্রয় করবে সেটা আমরা জানি না। আমরা শুধু কার্ডধারী ভোক্তাদের মাঝে চাল গুলো প্রদান করি।
এবিষয়ে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ৩০ কেজি ওজনের ৯৩ বস্তা সরকারি ও ১৩ বস্তা ৫০ কেজি ওজনের প্লাস্টিকের সাদা বস্তায় চাল রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
Posted ৬:১৩ অপরাহ্ণ | সোমবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD