মাইনুল হাসান মজনু, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে আমন ধানের জমিতে সোনালী ধানের শীশে ছেয়ে গেছে। সব জমিতেই আশানুরূপ ফলনের আশা করছেন চাষীরা। এরইমধ্যে জমি থেকে ধান কাটা শরু হয়েছে। তাতে ভালো ফলন পাচ্ছেন চাষীরা।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় এবার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষ করা হয়েছে। শুরুতেই একদিকে যেমন বন্যা ও খরার শঙ্কা ছিলো, তারপর আবার বেড়ে ওঠা ধান গাছে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব পেড়িয়ে ভালো ফলন হয়েছে এবার।
ফুলবাড়ী ইউনিয়নের ভীটাপাড়া গ্রামের চাষী রবিউল ইসলাম হাবু আলোকিত বগুড়াকে বলেন, আমি এবার ৪৫ শতাংশ জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। পোকা-মাকড়-লেগেছিলো তবে কিটনাশক প্রয়োগ করার পর তা সেরে গেছে। এখন ধান পাকা শুরু হয়েছে। আমার জমিসহ আশপাস সোনালী ধানের শীষে কৃষকের হাসি দোল খাচ্ছে। কৃষকদের আমন ধানের ফলন দেখে মন ভরে উঠেছে।
কুতুবপুর ইউনিয়নের বড় কুতুবপুর গ্রামের আবদুল খালেক আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, প্রথমে মনে করেছিলাম হয়ত এবার আমন ধানের ফলন ভালো হবে না। কারণ এক দিকে যেন খরা অন্য দিকে পোকা-মাকরের কারণে ফসল মার খেতে বসেছিলো। আমি ১০ বিঘা জমিতে গুটি স্বর্ণা, বিআর-১১, ৪৯, রঞ্জিত জাতের ধানের আবাদ করেছিলাম। এখন দেখছি ফলন খুবই ভালো হয়েছে। এরই মধ্যেই ২ বিঘা জমি থেকে ধান কর্তন করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আবদুল হালিম আমাদের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার মাইনুল হাসান মজনুকে বলেন, এবার আমনের ফলন ভারো হয়েছে। মাঠে মাঠে কৃষি কর্মীদের অনেক পরিশ্রম করছেন। এ ছাড়াও চাষীরা আমন ধানের ফলন ভালো করার জন্য উঠে-পরে লেগেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, মঙ্গলবার আমি ৭ বিঘা জমি থেকে আমন ধান কর্তন করার সময় উপস্থিত ছিলাম। তাতে ফলন পেয়েছেন চাষীরা সাড়ে পাঁচ টন; অর্থাত সাড়ে পাঁচ হাজার কেজি। এবার আমন ধানে আশানুরূপ ফলন পেয়ে এলাকার চাষীরা লাভবান হবেন।
Posted ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD