সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে চাকুরি দেয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইসলামি ফাউন্ডেশন কামারখন্দের ভদ্রঘাট শাখার কেয়ারটেকার শাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। শাহিদুল ইসলাম রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের পুর্ব মধুরাপুর গ্রামের আলহাজ মোঃ ওসমান গুনি মাস্টারের ছেলে।
রায়গঞ্জ উপজেলার নলকা ইউনিয়নের পূর্ব মধুরাপুর গ্রামে সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন। ভুক্তভোগী একই গ্রামের ফকির মাহমুদের ছেলে শাহিন রেজা বলেন, মহিলা অধিদপ্তরে আউট সোর্সিং এ চাকুরি দেওয়ার নামে ইসলামিয়া ফাউন্ডেশন কামারখন্দ শাখার কেয়ারটেকার শাহিদুল ইসলাম আমার নিকট থেকে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। গত ২ বছর পার হলেও চাকুরি না দিয়ে নানা তালবাহানা করছে।
অপর ভুক্তভোগী নলকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচন অফিসে কম্পিউটার অপারের্টর হিসেবে আমার ছেলে রাসেলকে চাকুরী দেওয়ার নামে ৩ লক্ষ টাকা চুক্তি করা হয়। চুক্তিমোতাবেক ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম নেয়। শুধু আমার ছেলে না আমাদের গ্রামের জামাল তালুকদারের ছেলে বাবু ও দুলালকে ভুমি অফিসে চাকুরী দেওয়ার নামে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নলকা গ্রামের আলী মাস্টারসহ এরাদহ, ভদ্রঘাট, চর-ভদ্রঘাট গ্রামে বিভিন্ন যুবক ও অভিভাবকের নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে শাহিদুল ইসলাম চাকুরি না দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
নলকা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার বলেন, বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে চাকুরী দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ভুক্তভোগী আমার নিকট অভিযোগ করেছে। তিনি আরো বলেন, আমি শুনতে পেরেছি ১ বছরের মধ্যে শাহিদুল ইসলাম নাকি ৬টি মাইক্রোবাস কিনেছে।
এ ব্যাপারে ইসলামি ফাউন্ডেশন কামারখন্দ উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবল আলম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। বিষয়টি আমাদের জেলা অফিসে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহিদুল ইসলাম চাকুরী দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার বিষয়টি এরিয়ে যান। তিনি বলেন, আমি ঢাকা আছি। পরে এসে আপনার সাথে কথা বলবো। এই বলে মোবাইল রেখে দেয়।
Posted ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD