ফাইল ছবি। (আলোকিত বগুড়া)
বগুড়ার নন্দীগ্রামে রণবাঘায় শেষ মূহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। এবার শুধু হাটেই নয়, ক্রেতারা ঝুঁকেছে পাড়া মহল্লায় খামারীদের কাছে। কোরবানির পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ছোট ও মাঝারি গরুর দিকেই বেশি ঝুঁকছে সিংহভাগ ক্রেতা।
নন্দীগ্রাম উপজেলার রণবাঘা হাট ঘুরে দেখা গেছে যে, হাটের প্রত্যেক প্রান্ত ক্রেতা-বিক্রেতায় ভরা। রাতে বিভিন্ন জায়গা থেকে ভটভটি, ছোট-বড় ট্রাকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু ও ছাগল নিয়ে হাটে এসেছে বিক্রেতারা। আগামী ১০ই জুলাই পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে প্রত্যেক হাটে জমে উঠেছে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয়।
নন্দীগ্রাম সদর থেকে গরু নিয়ে আসা মোয়াজ্জেম হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি ৪টি গরু নিয়ে হাটে আসি। এর মধ্যে থেকে ১টি ফিজিয়াম গরু ১ লাখ ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সিংড়া থেকে আসা দুদু মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার খামারে ছোট বড় ৫টি গরু ছিল। এর মধ্যে থেকে ১টি গরু দেড় লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। শাজাহানপুর উপজেলার ক্রেতা কাজী আব্দুর রশিদের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, এবার গরুর দাম একটু বেশি। তারপরও ১টি দেশী গরু কিনেছি। হাট ঘুরে লক্ষ্য করা গেছে যে, চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি গরু ও ছাগল হাটে এসেছে। তবে বেশিরভাগ ক্রেতারা ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার মধ্যে গরু কিনতে চায়।
রণবাঘা হাটের পরিচালক মিজানুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, হাটের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ভলেনটিয়ার, মাইকিং, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মী, নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসন সর্বক্ষণ হাটে মনিটরিং করছে। তিনি আরও বলেন, আমরা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের বলছি তারা গরু ও ছাগল নিয়ে রোডে যেন ভিড় না জমায়।
নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে সবসময় তদারকি করা হচ্ছে।
Posted ১২:০০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০৩ জুলাই ২০২২
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD