একদিকে করোনার মত মহামারি অন্যদিকে ধুলা বালির দূষণে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনই ধুলার দূষণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন রাস্তায় চলাচলকারীরা। বেশ কিছুদিন আগে শেরপুর-ধুনট আঞ্চলিক সড়কের প্রসস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে। সেই জন্য সড়কের দুই পাশে মাটি ফেলা হয়েছে। সেখান দিয়েযানবাহন চলাচলের কারণে ধুলাবালির পরিমাণ বেড়েছে। এতে প্রতিদিনই ধুলার দূষণ ছড়াচ্ছে এবং নানা রোগে আক্রান্তের শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। দূষিত হচ্ছে বাতাস কমছে অক্সিজেনের মাত্রা। আর এ কারণে বাড়ছে সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন রোগের প্রকোপ ও সংক্রমণ। হুমকির মধ্যে পরছে জনস্বাস্থ্য। এই দূষনের জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজকেই দায়ি করছেন সচেতন মহল।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর থেকে ধুনট পর্যন্ত সড়কটি প্রসস্তকরণ কাজ শুরু হয়েছে। এ কাজের দায়িত্ব পেয়েছেন মোজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। রাস্তা প্রসস্তকরণের জন্য তারা দুপাশে এলোমেলো ভাবে মাটি ফেলায় এবং সময়মত পানি না দেয়ায় ধুলার দূষনে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হুমকির মধ্যে পরছে জনস্বাস্থ্য। এই স্থানে বর্তমানে আবহাওয়া শুষ্কতার কারণে যান চলাচলের সাথে প্রচÐ পরিমাণে ধুলাবালির ছড়িয়ে নানা রোগের আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি আবাসস্থলও বসবাসের অযোগ্য হয়ে পরেছে। একদিকে করোনায় অতিষ্ঠ জীবন অন্যদিকে ধুলা-দূষণ মানুষের বাড়তি সমস্যায় ফেলছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি কামনা করছেন সাধারণ মানুষ।
ওই সড়কে চলাচলকারীরা বলেন, একদিকে করোনা ভাইরাস তাদের জীবনযাপন অতিষ্ঠ অন্যদিকে অতিমাত্রায় ধুলাবালির কারণে রাস্তায় চলাচলে তাদের নানা ধরনের রোগ দেখা দিয়েছে। অপরিকল্পিতভাবে রাস্তা প্রসস্তকরণের কাজ চলায় ধুলা-দূষণের মত বিভিন্ন সমস্যায় পড়ছেন তারা। তাই ধুলা বালির এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রæত উন্নয়ন কাজ শেষ করতে এবং নিয়মিত ধুলাবালি নিরাময়ে পানি ব্যবহারের অনুরোধ জানান।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মোজাহার এন্টার প্রাইজের প্রজেক্ট ম্যানেজার মো. এমদাদ হোসেন বলেন, সড়ক উন্নয়ন কাজের জন্য সাময়িকভাবে জন সাধারণের সমস্যার জন্য আমরা দুঃখিত। আমরা ধুলা নিবারণের জন্য সময়মত পানি ব্যবহার করছি। আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় এবং অতিমাত্রায় বড় বড় যানবহন চলায় দ্রæত ধুলা ছড়াচ্ছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ সমস্য সমাধান হবে বলে আমি আশা করছি।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সময়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এখন শীতকালের কারণে বাতাসে ধুলাবালির পরিমাণ বেশি হওয়ায় স্বাসকষ্ঠজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বালাই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শীত ও ঠাÐা জনিত কারণে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আদ্রতা ও তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। ধুলাবালি ও করোনার আক্রমণ থেকে পরিত্রাণ পেতে সকলকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে।
Posted ১১:৩৬ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD