বগুড়ার শেরপুরে স্বেচ্ছা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে এক সন্তানের মাতাকে অপহরণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী কন্যার পিতা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, শেরপুর উপজেলার শাহ বন্দেগী ইউনিয়নের হাতিগাড়া গ্রামের পলাশ বসাক তার মেয়ে মিতালী বসাক(২৩)কে প্রায় ৫বছর পূর্বে একই গ্রামের স্বপন বসাকের ছেলে শিপন বসাকের সাথে বিবাহ দেয় এবং তারা স্বামী স্ত্রী সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো।
ইতোমধ্যে মিতালী বসাক একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। কিন্তু অভিযুক্ত শেরুয়া( ফরেস্ট বাগান) নিবাসী রসুল আহমেদের ছেলে মোঃবুলবুল(৩০) প্রায় একবছর পুর্ব থেকে মিতালী কে ফুসলাইতে থাকে এবং তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এসছিলো। শুধু তাই নয় বুলবুল নিজেকে কখনও সাংবাদিক কখনও বা থানার সোর্স বলে পরিচয় দিয়ে মিতালীর উপর প্রভাব বিস্তার করে আসছিলো।
অবশেষে গত ৩০আগষ্ট রাত আনুমানিক ১১.৩০ এর সময় মিতালীর স্বামীর বাড়ি থেকে বুলবুল তার বন্ধুর সহায়তায় মিতালীকে মোটর সাইকেল যোগে নিয়ে যাবার সময় বাদী পলাশ বসাক তার পরিবারের লোকজনের সহায়তায় মিতালীকে উদ্ধার করে নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। অপরদিকে অভিযুক্ত বুলবুল জোর করে উঠাইয়া নিয়ে যাবে বলে হুমকি ধামকি দিয়ে চলেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত বুলবুল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এরকম কোন ঘটনা ঘটে নাই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী পলাশ বসাক বলেন বুলবুল বিভিন্ন সময় আমার মেয়েকে উত্তপ্ত করত এবং বিভিন্ন সময় সাংবাদিক ও পুলিশের সোর্সের পরিচয় দিয়ে ভয়ভীতি দেখা তো এতে রাজি না হওয়ায় আমার মেয়েকে অপহরণ করার জন্য আসে, পরে আমরা টের পেয়ে আমার পরিবারের লোকজন নিয়ে ওখান থেকে মেয়েকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি সেই সময় বুলবুল পালিয়ে যায়। আমার মেয়ের ভাত হবে কিনা। আমি এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী করছি।
শাহ বন্দেগী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না আমি কোন বক্তব্য দিতে পারবো না।
শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি রেজাউল করিম সিপ্লাব বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ প্রসঙ্গে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো.আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, এই বিষয়ে একটা অভিযোগ পেয়েছি আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
Posted ৬:০৬ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD