বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় মুজিববর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ন প্রকল্প ২ এর অধীনে ৩য় পর্যায়ে নতুন করে আরো ৪৫টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের পাকা দালানের দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করেন শেরপুর উপজেলা প্রশাসন।
এদিন শেরপুর উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নে বাশবাড়িয়া ৬টি, বিশালপুর ইউনিয়নে সাবাড়িয়া ৬টি, তেতুলিয়া-২টি, কলোনি-১টি, বুলাকী-৩টি, নাইশিমুল-১টি এবং মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাঁদড়া ২৬টি ঘর সহ আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর ৩য় পর্যায়ের মোট ৪৫ টি পরিবারের জন্য নির্মিত ঘরের চাবি ও জমির দলিল উপকারভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হলো। প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৫৯৯ টাকা পরিবহন প্রায় ৫ হাজার টাকা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী (মুজিববর্ষ) উপলক্ষে তালিকায় থাকা এসব ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে ঘর করে দিচ্ছে সরকার। এপর্যন্ত শেরপুর উপজেলার ভূমিহীন ও গৃহহীন ৩৪৫টি পরিবার পাকা বাড়ি পেল। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে অসহায় ভূমিহীন এবং গৃহহীন পরিবারের স্বপ্ন পূরণ হবে। দলিল ও চাবি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন শেরপুর-ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব হবিবর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও শেরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবর রহমান মজনু, সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা শারমিন, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শামসুন্নাহার শিউলি, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক ও গনমাদ্যম কর্মী, শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো শহিদুল ইসলামসহ দলীয় নেতা-কর্মী, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা পরিষদের অন্যান্য কর্মকর্তা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ময়নুল ইসলাম বলেন, একই সঙ্গে একক গৃহ ও ব্যারাকে এতো বেশি সংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে জমি ও ঘর দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প একক গৃহনির্মাণের সামগ্রিক কার্যক্রম সমন্বয় করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ময়নুল ইসলামের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির মাধ্যমে গৃহনির্মাণ করা হচ্ছে।
Posted ৯:২৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই ২০২২
Alokito Bogura || Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD