বুধবার ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম
শিরোনাম

শেরপুরে ভীমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের আগেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২
159 বার পঠিত
শেরপুরে ভীমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগের আগেই ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ সভাপতির বিরুদ্ধে

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: নিয়োগের আগেই ঘুষ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বগুড়ার শেরপুরের একটি বেসরকারি হাইস্কুলের সভাপতির বিরুদ্ধে। কোন পদের জন্য ১২ লাখ আবার কোনটির জন্য ২০ লাখ। আবার ১৩ লাখ টাকার সম্প্রতি ফাঁস হওয়া এক অডিও ক্লিপের মাধ্যমে বেড়িয়ে এসেছে দুর্নিতির এরকম এক ভয়ঙ্কর চিত্র। এ নিয়ে চাকরি প্রার্থীদের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করছে।

উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের ভীমজানী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সূত্রে জানা যায়, স্কুলটির প্রধান শিক্ষক, সহকারি প্রধান শিক্ষক, অফিস সহায়ক ও আয়া পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে প্রধান শিক্ষক পদে কোন আবেদন পত্র জমা পড়েনি। অন্যদিকে সহকারি প্রধান শিক্ষক পদে ৬ জন, অফিস সহায়ক পদে ৪ জন ও আয়া পদে ৭ জন প্রার্থী আবেদন করেছেন।


কিন্তু নিয়োগ পরীক্ষার আগেই আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয় পড়েছে। সেখান থেকে জানা যায়, স্কুলটির পরিচলানা কমিটির সভাপতি আমজাদ হোসেন আয়া পদের জন্য ১২ লক্ষ টাকা দাবি করছেন এক প্রার্থীর অভিভাবকের কাছে। কারণ নিয়োগের জন্য স্থানীয় সাংসদের পিএস, বগুড়ার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহ অনেকজনকে টাকা দিয়ে ম্যনেজ করতে হবে বলে তাকে বলেতে শুনা যায়।

এতে সুষ্ঠু নিয়োগের ক্ষেত্রে সন্দেহ করছেন আবেদনকারীরা। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য গত অক্টোবরের ২৬ তারিখে বগুড়ার জেলা প্রশাসক বরার লিখিত অভিযোগ করেছেন ৩ জন চাকরি আবেদনকারি।


তাদের একজন আয়া পদে আবেদনকারি হালিমা আক্তার বলেন, নিয়োগের আগেই স্কুলের সভাপতি প্রার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন। এমনটা হলে মেধা থাকা সত্ত্বেও আমি নিশ্চিত চাকরি পাব না। তাই অভিযোগ করেছি।

আবার একজন প্রার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েও আরও বেশি টাকার বিনিময়ে আরেকজনকে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্কুলটির সভাপতি আমজাদ হোসেন। এমনটাই অভিযোগ করেছেন আয়া পদে আবেদনকারি শামীমা আক্তার। তিনি বলেন, এই পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে আমার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। এখন শুনছি বেশি টাকার বিনিময়ে আরেকজনকে চাকরি দিবে। তাই চাকরি তো দূরের কথা টাকা ফেরৎ পাওয়া নিয়ে শংকায় আছি আমি।


বেশি অর্থ দাবি করার কারণে প্রধান শিক্ষক পদে কেউ আবেদন করেননি বলে জানিয়েছেন কেল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে প্রধান শিক্ষক পদের জন্য আমি ভীমজানী হাই স্কুল কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি। তারা আমার কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। এত টাকা দিয়ে চাকরি নেওয়া সম্ভব নয়। তাই আমি আবেদন করিনি।

এ দিকে তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন স্কুলটির সভাপতি আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, “আমি কয়েক মাস আগে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। আমার বিপক্ষের লোকজন পরাজিত হয়ে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করেছন।“ ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপটিও ভিত্তিহীন বলে তিনি দাবি করেন।

এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা শেখ নজমুল ইসলাম আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। গত বুধবার অভিযুক্ত ও অভিযোগকারীদের বক্তব্য শোনা হয়েছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Facebook Comments Box

Posted ২:৫৪ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ১১ নভেম্বর ২০২২

Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  

প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক:

এম.টি.আই স্বপন মাহমুদ

বার্তা সম্পাদক: এম.এ রাশেদ

সহ-বার্তা সম্পাদক: মোঃ সাজু মিয়া

অস্থায়ী অফিস:

তালুকদার শপিং সেন্টার (৩য় তলা),

নবাববাড়ি রোড, বগুড়া-৫৮০০।

বার্তাকক্ষ যোগাযোগ:

মুঠোফোন: ০১৭৫০ ৯১১৮৪৫

ইমেইল: alokitobogura@gmail.com

বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশন কর্তৃক নিবন্ধিত।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবন্ধনের জন্য আবেদিত।
error: Content is protected !!