বগুড়ার শেরপুরের বিশ্বা পশ্চিম পাড়া গ্রামের গ্রাম পুলিশ মো. মোলা হোসেনকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ৬ষ্ট শ্রেণির এক ছাত্রিকে বিয়ে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বিশ্বা পশ্চিম পাড়া গ্রামের আইয়ুব আলীর মেয়ে বিশ্বা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রীর একই ইউনিয়নের ছোনকা চন্ডিপুর গ্রামের আনোয়ারের ছেলে নাজমুলের সঙ্গে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের আয়োজন চলছিল। এ সময় ওই ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মো. মোলা সংবাদ পেয়ে বিয়ে বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ে বন্ধ করার চেষ্টা ও মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পরে মেয়ের বাবা আইয়ুব আলী বিয়ের স্বার্থে ওই গ্রাম পুলিশ মো. মোলাকে প্রথমে ১ হাজার টাকা দিলে সে মেয়ের বাবাকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। পরে আরো ৫ টাকা সহ মোট ১ হাজার ৫শ টাকা দিলে বাল্য বিয়ের অনুমোদন দিয়ে চলে যায়।
মেয়ের বাবা আইয়ুব আলীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার মেয়ে ৬ষ্ট শ্রেণিতে পরে করোনার জন্য দুই বছর স্কুলে যাচ্ছে না। ভালো পাত্রস্থ করতে পেরে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। গ্রাম পুলিশ মো. মোলা সংবাদ আমার বাড়িতে বিয়ে বন্ধ করতে বলে। পরে তাকে ১ হাজার ৫শ টাকা দেওয়ার পর সে চলে যায়।
এ ব্যাপারে গ্রাম পুলিশ মো. মোলা বক্স বলেন, আমাকে শফিক স্যার বিয়ে বন্ধ করতে বলেছে তাই আমি বিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখি বিয়ের কোন আয়োজনই নেই।
বিশ্বা দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন বাবু বলেন, আমি শুনেছি ৬ষ্ট শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ে হচ্ছে। আমি বিয়ে দিতে নিষেধ করেছি।
ভবানীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের আবুল কালাম আজাদ বলেন, যদি গ্রাম পুলিশ বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কোন টাকা নিয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলামকে বিষয়টি জানালে তিনি বলেন, বাল্য বিয়ের বিষয়টি দেখছি এবং গ্রামপুলিশ টাকা নিয়েছে এটা চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
Posted ৫:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০১ জুলাই ২০২১
Alokito Bogura। Online Newspaper | MTi SHOPON MAHMUD