পহেলা বৈশাখ মানেই বৈশাখী পোষাক পড়ার আনন্দ। পহেলা বৈশাখ মানেই পান্তা আর ইলিশের সমারোহ। দেশীয়রীতিতে পান্তা আর ইলিশ ঐতিহ্যবাহী খাবার। গত দুই বছর করোনার কারণে ম্লান ছিল পহেলা বৈশাখ। এবার করোনার পরিস্থিতি উন্নতি হলেও রোজার কারণে বগুড়ার শেরপুরে ইলিশের বাজারে বৈশাখের তেমন আমেজ নেই। বৈশাখ উপলক্ষে বাজারে ইলিশ উঠেছে ঠিকই কিন্তু তাতে আগ্রহ কম ক্রেতাদের। ফলে বিক্রি না থাকায় হতাশ ব্যবসায়ীরা। আর ক্রেতারা বলছেন, রোজার মাস আর বিক্রেতারাও মাছের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার শেরপুর শহরের রেজিস্ট্রি অফিস বাজার ও শেরপুর বারদুয়ারি হাট ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, এ বাজারে ক্রেতা না থাকায় আড্ডায় সময় কাটান অনেকেই। তারা বলছেন, এবারের মৌসুম তাদের জন্য লোকসানের। ‘ বৈশাখ উপলক্ষ্যে বাজারে ক্রেতা নাই, কিছু ক্রেতা থাকলেও তাদের চাহিদা নেই।
বাজারে বর্তমানে প্রতি এক কেজি ওজনের ইলিশ ১২৫০ থেকে ১৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, প্রতি ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০৬০ টাকা, ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে, প্রতি ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা কেজিদরে। আর জাটকা বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে।
নরেশ চন্দ্র দাস নামে এক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, আমার ব্যবসাকালে মৌসুম বাজার এতো খারাপ (কম দাম) কখনও দেখিনি। এবার বাজারে ক্রেতাই নেই। যারা আসছেন তাদের মাছের প্রতি আগ্রহ নেই। রশিদ নামে আরেক মাছ ব্যবসায়ী বলেন, গেল দুই বছর করোনার কারণে বৈশাখ উপলক্ষ্যে বেচাকেনা ছিল না। এবার রমজান মাস হওয়ায় অনেকেই পহেলা বৈশাখ পালনে আগ্রহ কম দেখা যাচ্ছে। রমজান আলী নামে মাছ বিক্রেতা বলেন, বৈশাখীর আমেজ নেই। সাধারণ দিনগুলোর মতই বেচাকেনা হচ্ছে। অনেক ব্যবসায়ী গত ১০/১৫ দিন ধরে বরফ দিয়ে মাছ হিমায়িত করে রেখেছিলেন তাদের বরফের দামও উঠবে না।
সবুজ ইসলাম নামে মাছ ক্রেতা বলেন, অনেকেই ইলিশ কিনে রেখেছেন, এদিন খাওয়ার জন্য। কারণ এসময় বিক্রেতারা মাছের দাম কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেন। তাই এখন আর মাছ কেনার প্রতি আগ্রহ নেই।
Posted ৮:১০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ১৩ এপ্রিল ২০২২
Alokito Bogura || আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD