উত্তর বঙ্গের মধ্যে বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা শষ্য ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। এই উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ উপজেলার মাটি প্রাকৃতিক ভাবে উর্বর হওয়ার কারণে এখানকার স্থায়ীবাসিন্দা কৃষির উপর নির্ভরশীল। এ উপজেলায় আলু মৌসুমে আলুর উৎপাদন বেশি হওয়ায় ১৫টি কোল্ড ষ্টোর গড়ে উঠেছে। এসব কোল্ড ষ্টোরে এ বছর কৃষক ও ব্যবসায়ীরা প্রায় ১৬ লক্ষ বস্তা আলু সংরক্ষণ করে। এখনও ষ্টোর গুলোতে ৩ লক্ষ বস্তা আলু সংরক্ষন রয়েছে বলে ষ্টোরের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়।
এসব আলুর মধ্যে কৃষকদের রাখা বীজ আলুর সংখ্যা বেশী । বিএনপি জামায়াতের টানা তিন দিনের হরতাল অবরোধের কারণে আলু ব্যবসায়ীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় আলু সরবরাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। আলু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় পড়ছে ব্যবসায়ী। এদিকে আলু সরবরাহ না থাকায় বাজারে আলু হাফ সেঞ্চুরি পার করে এখন সেঞ্চুরির ধাক্কা। আলু ক্রয় করতে সাধারণ ক্রেতাদের নাভিশ্বাস।
সরেজমিনে, উপজেলার বুড়িগঞ্জে নিউ জনতা ষ্টোরে বর্তমানে ৩২ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। তার মধ্যে ১৮ হাজার বস্তা কৃষকদের বীজ আলু ও ১৪ হাজার বস্তা ব্যবসায়ীদের রয়েছে। নিউ কাফেলা ষ্টোরে ১২ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। তার মধ্যে ৬ হাজার বস্তা আলু বীজ রয়েছে। শাহ সুলতান-১ ষ্টোরে ২০ হাজার বস্তা আলু রয়েছে। তার মধ্যে কৃষকদের বীজ আলুর পরিমাণ বেশি রয়েছে । আর এন্ড আর ষ্টোরে বর্তমানে ৪০ হাজার বস্তা আলু রয়েছে এর মধ্যে ২৫ হাজার বস্তা আলু ব্যবসায়ীদের অবশিষ্ট আলু কৃষকদের বীজ আলু বলে জানা যায়।
এব্যাপারে শিবগঞ্জ হিমাদ্রী লিঃ এর ম্যানেজার নূরুন নবী বলেন, ৩২ হাজার বীজ আলু আমাদের ষ্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কৃষকরা বীজ আলু প্রতিদিন উঠে নিচ্ছেন।
এব্যাপারে নিউ কাফেলা ষ্টোরের ম্যানেজার আকতারুজ্জামান মিলটন বলেন এই ষ্টোরে বর্তমানে কৃষকদের বীজ আলু বেশি রয়েছে, তবে উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার কাছে সরকারি রেটে আলু বিক্রি করা হয়েছে।
এব্যাপারে আলু ব্যবসায়ী ও পৌর কাউন্সিলার আবু সাইদ বলেন, এ বছর আলুর দাম বেশি হওয়ার কারণে ব্যবসায়ীরা লাভের আশায় তড়িঘড়ি করে আলু উঠে নিয়েছে।
এব্যাপারে কৃষক তহুরুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, আলমগীর হোসেন বলেন, ষ্টোরে রাখা বীজ আলু আমরা উঠে নিচ্ছি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জমিতে আলুর বীজ বপন করবো।
এব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র তৌহিদু রহমান মানিক বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে ন্যায্যমূল্যে আলু ক্রয় করতে পারে, সে লক্ষে পৌরসভার আয়োজনে গত ২০ দিন যাবৎ পৌর চত্বরে ভোক্তাদের মাঝে ৩৬ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার বলেন, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলার ঐতিহাসিক মহাস্থান হাটে মাইকিং করে ৩৬ টাকা দরে ভোক্তাদের মাঝে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
Posted ৬:০০ অপরাহ্ণ | বুধবার, ০১ নভেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | Sazu Mia