ইসলামকে শুধু মসজিদে আটকে রাখলে হবে না। এটি যে একটি পূর্ণ জীবন বিধান সেটা বোঝাতে চায় মডেল মসজিদ। যেখানে নিয়মিত ইসলামি জ্ঞানচর্চা হবে, কেন্দ্র হবে। এমন লক্ষ্য নিয়েই সারা দেশের জেলা ও উপজেলায় মডেল মসজিদ গড়ে তুলছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় বগুড়ার শিবগঞ্জেও গণপূর্ত বিভাগের ১২ কোটি ১৪ লক্ষ টাকায় টেন্ডারের মাধ্যমে কাজটি পান কাজী এরফানুর রহমান নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
গত ৩বছর পূর্বে এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান শুরু করে মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ। প্রথম দিকে কাজ দ্রুত গতিতে করলেও পরবর্তীতে ৫২টি কলাম ও কয়েকটি ধাপ সিঁড়ি নির্মাণ করার পর কাজ ধীর গতিতে চলতে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির কাজ ধীর গতিতে চলতে থাকলে জাতীয় ও স্থানীয় কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলেও এই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মসজিদের কাজ প্রায় বন্ধ করে রাখে মাসের পর মাস ।
অবশেষে গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন ট্রাক ও ভ্যান যোগে নির্মাণ সামগ্রী রড, খোয়া ও পাথর, বালি সহ যাবতীয় নির্মাণ সরঞ্জমাদি তাড়া হুড়া করে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের জিএম জহুরুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, কয়েক বছর পূর্বের টেন্ডার অনুযায়ী কাজটি পেলেও বর্তমানে নির্মাণ সামগ্রীর দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ার করাণে কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বতর্মানে এই কাজে ৫২টি কলাম, সিঁড়ি নির্মাণে প্রায় ১ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। কাজ বন্ধ রাখা ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে গণপূর্ত বিভাগকে অবগত করা হয়েছে। তাদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তীতে পুনরায় কাজ করা হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল মসজিদ কমিটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি উম্মে কুলসুম সম্পা আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, মসজিদের কাজ দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ রাখা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার। কেননা সারাদেশে মডেল মসজিদের কাজ শেষ হয়েছে। অথচ এই উপজেলায় মসজিদের কাজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের গরিমশির কারণে সম্পূর্ণ হয়নি। তবে দ্রুত কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে কাজ সম্পূর্ণ করার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বগুড়া গণপূর্ত বিভাগ বগুড়ার উপ-সহকারী প্রকৌশলী রেজাউল করিম মুঠোফোনে আলোকিত বগুড়া’কে বলেন, নির্মাণ সামগ্রীর দাম উর্ধ্বমুখী হওয়ার কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার কাজ করবে না মর্মে অবগত করেছেন। তবে প্রয়োজনে আবারও পুনরায় টেন্ডারের মাধ্যমে দ্রুত কাজ সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, আমরা ভেবে ছিলাম দ্রুত এ মসজিদের কাজ শেষ হবে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার গড়িমশি করার কারণে বছরে পর বছর পেরিয়ে গেলেও শুধু মাত্র কয়েক টি কলাম নির্মাণ করে অবশেষে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মসজিদ চত্বর হতে তাদের নির্মাণ সামগ্রী উঠে নিয়ে যাওয়া দুঃখজনক ব্যাপার। দ্রুত এ মসজিদের কাজ সম্পন্ন হবে কি না এলাকাবাসী তা নিয়ে হতাশায় ভূগছেন। তবে স্থানীয়রা দ্রুত মসজিদ নির্মাণ সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানিয়েছেন।
Posted ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ৩১ আগস্ট ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD