বগুড়ার শিবগঞ্জে চন্ডিহারা বালিকা বিদ্যালয়ের ৪৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ ও নিয়োগের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় প্রধান শিক্ষক ও এডহক কমিটির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে অভিযোগ করেছেন প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য ওসমান গণি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চন্ডিহারা বালিকা বিদ্যালয়টি ১৯৩১ সালে প্রতিষ্ঠিত করেন মরহুম আনার বকস মন্ডল। ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠানটি উন্নীত হয়। গত ১০ বছর পূর্বে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাহিনুর রহমান দাতা সদস্য সংক্রান্ত বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি করেন। ফলে বিদ্যালয়টি এডহক কমিটি দ্বারা পরিচালিত হতে থাকে। সুযোগটি কাজে লাগিয়া প্রধান শিক্ষক মাহিনুর রহমান ও এডহক কমিটির শহিদুল ইসলাম যোগ সাজসে প্রতিষ্ঠানের আপদকালীন তহবিল এর ১২ লক্ষাধিক টাকা সহ প্রতিষ্ঠানের জমি হতে আয়ের প্রায় ৪৭ লক্ষাধিক টাকা আত্মসাৎ করে। প্রধান শিক্ষক ধ্রæতবাজ লোক হওয়ায় সে গত ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ তারিখে কোভিড-১৯ কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় অভিভাবক সদস্য, দাতা সদস্যকে ও বিদ্যুৎসাহী সদস্যকে না জানিয়ে নিজে নিজে ডান-বাম হাতে স্বাক্ষর করে একটি অবৈধ কমিটি গঠণ করেন। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত চেয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আতাউল ওসমান গণি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে অভিযোগকারী ওসমান গণি বলেন, প্রধান শিক্ষক তার স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিয়োগের নামে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের ৪৭ লক্ষাধিক টাকা প্রধান শিক্ষক ও এডহক কমিটি উত্তোলন করে আত্মাসৎ করেছে। আগামী ২২ ফেব্রয়ারি নিয়োগ বোর্ড স্থগিত না করা হলে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হবে ও প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রদানের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিবেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক এর সাথে কথা বললে তিনি ৪৭লক্ষ টাকা উত্তোলনের বিষয় স্বীকার করে বলেন, এ টাকার মধ্যে ২৫লক্ষ টাকা দিয়ে ২৫শতক জমি ক্রয়, ৭লক্ষ ৫০টাকার বিদ্যালয়ের প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে এবং ১১লক্ষ টাকা ঋণ পরিশোধ করা হয়েছে। এছাড়াও অবশিষ্ট টাকা দিয়ে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। অত্র প্রতিষ্ঠানের দাতা সদস্য আতাউল ওসমান গণি আমার বিরুদ্ধে অযথা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে, যা হাস্যকর বিষয়। আগামী ২২ তারিখে কয়েকটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বিষয়টি জানতে পেয়ে ওসমান গণি ঈশ্বার্ন্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক অভিযোগ দাখিল করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে কুলসুম সম্পা বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক অফিসারকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। তদন্ত রিপোট পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Posted ১১:২২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২
Alokito Bogura। আলোকিত বগুড়া | MTi SHOPON MAHMUD