বগুড়ার শিবগঞ্জে লুটপাট বা চোরাই মালামাল উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতিতে নগদ অর্থ মালামাল লুটপাটের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
থানা পুলিশ সূত্রে জানায়, বেবী বেগম থানায় মামলা করেছেন। যাহার মামলা ৪৫/ তারিখ ১৬/০৯/২০২৩ ইং । উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে লুটপাট ও চোরাই মালামাল উদ্ধারের জন্য উপজেলার ময়দানহাট্টা ইউনিয়নের বাকশন পূর্বপাড়া গ্রামে গত মঙ্গলবার বিকালে থানার এস.আই লতিফসহ বেশ কয়েক জন ঘটনাস্থলে যায়। বাড়িতে কেহ না থাকায় বাড়ির শয়ন কক্ষের তালা ভেঙ্গে দিনের বেলায় প্রকাশে নগদ অর্থসহ আসবাবপত্র বের করে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে বাকশন পূর্ব পাড়া গ্রামের ধলু মিয়ার স্ত্রী শিউলী বলেন, আমরা বাড়িতে না থাকার সুযোগে থানার এস.আই লতিফ, এএসআই তাহেরসহ বাকশন পূর্বপাড়া গ্রামের জাহিদুল এর স্ত্রী বেবী, তার স্বামী জাহিদুল ইসলাম, সানোয়ার ও ফাহিমা বেগম আমার বসত বাড়িতে এসে শয়ন কক্ষের তালা ভেঙ্গে আসবাবপত্রসহ নগদ দেড় লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়। আমি থানায় অভিযোগ দিতে গেলে এসআই লতিফ আমাদেরকে অভিযোগ দিতে নিষেধ করেন। এমনকি স্থানীয় একটি দোকানে অভিযোগ লিখতে গেলে তারাও ওই পুলিশ কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আমাকে অভিযোগ লিখে দেয় নাই। আমি নিরূপাই হয়ে রাত ১১টার দিকে বাড়িতে ফিরে আসি।
মামলার বাদী বেবীর স্বামী জাহিদুল ইসলাম বলেন, থানা পুলিশ আমাদের লুটপাট হওয়া মালামালের অর্ধেক বুঝিয়ে দিয়েছেন।
এস.আই লতিফ বলেন, থানার মামলার প্রেক্ষিতে লুটপাট ও চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি আদালতকে অবগত করা হবে। থানায় অভিযোগ দেওয়ার নিষেধ করার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি অভিযোগ দিতে কাউকে নিষেধ করি নাই। তারা অযথা আমাকে দোষারোপ করছে।
বগুড়া জজ কোটের এ্যাড ভোকেট রুবেল বলেন, পুলিশ মামলার তদন্তের স্বার্থে আলামত জব্দ করতে পারেন। কিন্তু কাহারো বসত বাড়ি থেকে আসবাবপত্র ক্রপ করতে হলে আদালতের আদেশ ব্যতিত তা করতে পারবেন না।
থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই আব্দুল লতিফ মালামাল উদ্ধার করেছেন।
Posted ৩:৪৩ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
Alokito Bogura || Online Newspaper | Sazu Mia