বগুড়ার শিবগঞ্জে কোভিড-১৯, কারণে দীর্ঘ ৯ মাস, স্কুল, কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা উপকরণ ব্যবসায় মন্দা ভাব, হওয়ায় পার্শ্ব ব্যসায়ী ঝুঁকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ ব্যবসায়ী ধরে রাখতে পারছে অনেকেই। তারা নিরূপাই হয়ে তাদের ব্যবসা পরিবর্তন করে বিভিন্ন ব্যবসা দার করাতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। অনেকে ইতিমধ্যে ব্যবসায়ী পাল্টিয়ে মুদি দোকান সহ বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায় আত্ম নিয়োগ করেছেন।
জানা যায়, কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব গত মার্চ ২০২০ থেকে শুরু হয়। কোভিড -১৯ এর কারণে সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ায় করাণে বিপাকে পড়ে যায় শিক্ষা উপকরণ ব্যবসায়ীরা। এর ধারাবাহিকতায় শিবগঞ্জ উপজেলার এ পেশার ব্যবসায়ীদের কাঙ্খিত বিক্রয় কমে গেলে দিন দিন আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। যার কারণে ব্যবসায়ীরা সময় মত দোকান ভাড়া দিতেও পারছে না অনেকে। জীবন যাপন করতে কেউ কেউ লাইব্রেরীর পাশাপাশি অন্য ব্যবসা শুরু করে দিয়েছে।
শিবগঞ্জ উপজেলা সদরে অবস্থিত আল-আমিন লাইব্রেরী দীর্ঘদিন বই পুস্তুক সহ শিক্ষা উপকরনের ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। ব্যবসায় মন্দা ভাব আশায় আদি ব্যবসার সাঙ্গে বিভিন্ন রকমের ফল বিক্রি করছে। আছিয়া লাইব্রেরী এখন বিকাশ, রকেট মাধ্যমে আর্থিক লেন-দেন করে ব্যবসায়ে কোন রকমে টিকিয়ে রেখেছেন। আমতলী বন্দরের মাইশা লাইব্রেরী এখন বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর দোকান শুরু করেছেন।
এ ব্যাপারে আল-আমিন লাইব্রেরী রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনা’র কারণে দীর্ঘদিন স্কুল, কলেজ সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমি ঘর ভাড়া দিতে পারছি না। দোকানে কোন বিক্রি না থাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছি, তাই ওই ব্যবসার পাশাপাশি ফলের দোকান করে কোন রকমে জীবিকা নির্বাহ করছি ।
এ বিষয়ে আছিয়া লাইব্রেরীর রানা বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কোন বেঁচা কেনা বহুল অংশে কমে গেছে, তাই ওই ব্যবসার পাশাপাশি অন্য ব্যবসায়ী নিজেকে আত্ম নিয়োগ করেছি। এমতাবস্থায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানের জন্য সরকারের আশু দৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
Posted ৩:৩৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২১
Alokito Bogura | MTI SHOPON MAHMUD